ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

নিখোঁজ মানুষ | পাত্রিক মোদিয়ানো (১২) || অনুবাদ: মাসুদুজ্জামান

অনুবাদ উপন্যাস/শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৪
নিখোঁজ মানুষ | পাত্রিক মোদিয়ানো (১২) || অনুবাদ: মাসুদুজ্জামান অলঙ্ককরণ: মাহবুবুল হক

___________________________________

‘নিখোঁজ মানুষ’ [মিসিং পারসন, ১৯৭৮] এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নেওয়া পাত্রিক মোদিয়ানোর ষষ্ঠ উপন্যাস। যুদ্ধ মানুষকে কতটা নিঃসঙ্গ, অনিকেত, আত্মপরিচয়হীন, অমানবিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে, এটি হয়ে উঠেছে তারই চমকপ্রদ আলেখ্য।

‘রু দে বুতিক অবসক্যুর’ শিরোনামে ফরাসি ভাষায় লেখা উপন্যাসটির নামের আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘অন্ধকার বিপনীর সড়ক’। ড্যানিয়েল ভিসবোর্ট ১৯৮০ সালে এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। এর প্রধান চরিত্র ডিটেকটিভ গাই রোলান্দ। রহস্যময় একটা দুর্ঘটনার পর স্মৃতিভ্রষ্ট গাই তার আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধানে নামে। ধীরে ধীরে তার সামনে উন্মোচিত হতে থাকে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা প্যারি কব্জা করে নিলে বন্ধুদের কাছ থেকে সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং নিখোঁজ হয়। বন্ধুরাও নানা দিকে ছিটকে পড়ে। সমগ্র উপন্যাসটি সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আসলে নিখোঁজ মানুষের গল্প। ১৯৭৮ সালে উপন্যাসটি অর্জন করে প্রি গোঁকুর্ত পুরস্কার। পাঠকদের উপন্যাসটি পাঠের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এখানে উল্লেখ্য যে, এর আগে মদিয়ানোর কোনো লেখা বাংলায় অনূদিত হয়নি। ফরাসি উচ্চারণ এবং কিছু বাক্যাংশের অর্থ উদ্ধারে সাহায্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ফরাসি ভাষার অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য। –অনুবাদক
___________________________________

১১ম কিস্তির লিংক


কিস্তি ১২
পেছনে দরোজাটা ফেলে আমরা এগিয়ে গেলাম। আমরা পৌঁছে গেলাম প্রবেশমুখের ঘরটার মাঝখানে। সিলিংয়ে ঝুলন্ত একটা নিঃসঙ্গ বাল্ব থেকে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। ব্লান্ট সেখানে দাঁড়ালেন, বিস্মিত, বিমূঢ়। ভেবে অবাক হলাম, আমার বোধ হয় ছুটি না নিলেই ভালো হতো। গানের শব্দে কানে তালা লেগে যাচ্ছে। অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর থেকে মাথায় গোসলের লাল কাপড় বেঁধে লাল চুলঅলা এক তরুণী বেড়িয়ে এলো। আমাদের দুজনকেই চোখ বড় বড় করে বিস্মিত হয়ে দেখলো। ঢিলেঢালা ফিতের কারণে তার স্তন কিছুটা দৃশ্যমান।

“আমার স্ত্রী। ’’ ব্লান্ট বললেন।
আমার দিকে তাকিয়ে সামান্য মাথা নাড়ালেন তিনি আর দুই হাতে যতোটা সম্ভব ফিতের মাথাটা উঁচুতে তুলে ধরলেন।
“আমি তো জানতাম না তুমি এতো তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে,” তিনি বললেন।
একটা আলো, যে আলোটা আমাদের মুখে ফ্যাকাসে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দিচ্ছিলো, তিনজনই সেই আলোর নিচে দাঁড়িয়ে পড়লাম আর আমি ব্লান্টের দিকে ঘুরে তাকালাম।
“তুমি আমাকে সতর্ক করে দিতে পারতে,” স্ত্রীকে বললেন তিনি।
“আমি তো জানতাম না তোমরা আসবে...”
একটা শিশু মিথ্যে বলার হাত থেকে রক্ষা পেলো। নারী তার মাথা নোয়ালেন। বধির করে দেওয়া গান থেমে গেছে, আর স্যাক্সোফোনে বাজানো একটা সুর এতটাই বিশুদ্ধ যে তা বাতাসে গলে গলে ছড়িয়ে পড়ছে।
“অনেকেই কি এসেছে?” ব্লান্ট জিজ্ঞেস করলেন।
“না, না... অল্প কিছু বন্ধু এসেছে। ’’

ছোট করে কাটা বিবর্ণ সোনালী চুলের এক নারী, ঠোঁটে যার ফিকে গোলাপী রঙের লিপিস্টিক, দরোজার সংকীর্ণ ফাঁক দিয়ে তার মাথাটা দৃশ্যমান হয়ে উঠলো। এরপর আরেকটি মাথা, ঘন কালো চুল, গায়ের রঙ বিবর্ণ। ব্লাব থেকে বিচ্ছুরিত আলোয় এই মুখগুলোকে দেখাচ্ছিলো মুখোশের মতো। কালো চুলের নারী একটা হাসি উপহার দিলেন।
“আমার মনে হয় বন্ধুদের মাঝে আমার ফিরে যাওয়া উচিত... তোমার ফিরে আসা উচিত আরও দু/তিন ঘণ্টা পর...”
“ঠিক আছে যাও,” বললেন ব্লান্ট।
তার স্ত্রী অন্য দুজনকে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশপথটা ত্যাগ করলেন এবং দরোজাটা বন্ধ করে দিলেন। হাসির হুল্লোড় আর সেই হাসির জের ধরে অন্যদের হাসি, সবই শোনা গেলো। আবার সেই কানফাটানো গানটা বেজে উঠলো।
“আরে আসুন তো!” বললেন ব্লান্ট।

আবার আমরা সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে এসে দাঁড়ালাম। ব্লান্ট স্বংক্রিয় টাইমসুইচে চাপ দিলেন, আর এক পা এগিয়ে বসে পড়লেন। আমি যাতে তার শরীর ঘেঁষে বসি সেজন্য তিনি আমার দিকে ঘুরে বসলেন।
“আমার স্ত্রী আমার চাইতে অনেক ছোট... তিরিশ বছরের ব্যবধান... কম বয়সী কোনো মেয়েকে কখনও বিয়ে করা উচিত নয়... কখনও নয়। ”
তিনি তার একটা হাত আমার কাঁধের ওপর রাখলেন।
“এরকম বিয়ে কখনও কাজ করে না… একটা ঘটনাও নাই যা কাজ করেছে... ভুলে যাবেন না, হে বয়স্ক পুরুষ...”

আলো চলে গেলো। ব্লান্ট দৃশ্যত পুনর্বার আলো জ্বালাবার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করলেন না। আমি নিজেও তারই কারণে আলো জ্বালালাম না।

 “যদি গে আমাকে এই অবস্থায় দেখতে পেতো...”
কথাটা ভেবেই তিনি হাসিতে ফেটে পড়লেন। রহস্যময় সেই হাসি, অন্ধকারে প্রতিধ্বনিত হলো।
“সে আমাকে চিনতেই পারতো না... তার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমার প্রায় ষাট পাউন্ড ওজন বেড়েছে...”
আবার তিনি হাসির হুল্লোড় তুললেন, কিন্তু প্রথমবার যেমন হেসেছিলেন তার তুলনায় আলাদা ধরনের হাসি হাসলেন। এই হাসিটা অনেক চাপা, টানটান, উত্তেজক।
“সে দেখলে নিশ্চিতভাবেই হতাশ হতো... সেকথাই ভাবছি। আমি এক পানশালার পিয়ানোবাদক...”
“কিন্তু কেন তিনি হতাশ হতেন, বলেন তো?”
“একমাসের মধ্যে এই কাজ থেকেও আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
তিনি তার হাতের মুঠি দিয়ে আমার বাহুর ঊর্ধ্বাংশ আঁকড়ে ধরলেন।
“গে ভাবতো, আমি হয়তো কোল পোর্টারের মতো নতুন মিউজিক কম্পোজার আর গীতিকার হয়ে উঠবো...”
নারীরা হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন। ধ্বনিটা আসছিল ব্লান্টের ঘর থেকে।
“কী হচ্ছে ওখানে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
“তেমন কিছু না, ওরা নিজেরাই আনন্দ-উল্লাস করছেন। ”

একজন পুরুষের গুরুগম্ভীর কণ্ঠের গর্জন শোনা গেলো: “আমাকে কি ভেতরে ঢুকতে দেবে না? আমাকে কি ভেতরে ঢুকতে দেবে না, ড্যানি?”
হাসি। সশব্দে একটা দরোজা বন্ধ হয়ে গেলো।
“ড্যানি আমার স্ত্রী,” ব্লান্ট ফিসফিসিযে বললেন।
তিনি উঠে দাঁড়ালেন আর আলোটা জ্বালালেন।
“আসেন, আমরা মুক্ত বাতাসে গিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিই। ”

মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের কাছাকাছি গড়ের মাঠ। আমরা সেই মাঠটা পেরিয়ে কয়েক পা এগিয়ে সিঁড়ির ওপর বসে পড়লাম। আমি দেখলাম গাড়িগুলো আরও নিচে নেমে যাচ্ছে, জীবনের একমাত্র চিহ্ন বহন করে এগিয়ে চলেছে এভিন্যু দ্য নিউ-ইয়র্কের দিকে। আমাদের সবকিছুই মরুময়, ঠাণ্ডায় জমাটবাঁধা। এমনকি ইফেল টাওয়ার, যার ভেতর দিয়ে গিয়ে আমি সিন নদীর অন্য পারে পৌঁছুতে পারি, এতোটাই চমৎকার একটা জায়গা ইফেল টাওয়ার, সেই টাওয়ারটাকেই আজ মনে হলো দোমড়ানো মরচেপড়া ভাঙাচোরা লোহার বিশাল একটা জাহাজ।
“আপনি এখানে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন,  বললেন ব্লান্ট।

ভাস্কর্য গড়ের মাঠের ওপর দিয়ে গরম বাতাস বইছে। বইছে ওইখানে স্থাপিত নানান মূর্তির ভেতর দিয়ে, মূর্তিগুলোকে মনে হচ্ছে যেন ছায়াঘন এক-একটি স্তম্ভ। দূরে, একেবারে শেষ সীমানায় যে খাম্বাগুলো ছিলো, বাতাস তার মধ্য দিয়েও বইছে।
“আমি আপনাকে কিছু ছবি দেখাতে চাই,” ব্লান্টকে আমি বললাম।

পকেট থেকে একটা খাম বের করে সেই খামে রাখা দুটো ছবি তাকে দেখালাম। এই ছবির একটা গে অরলভের, অরলভের ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে সেই বৃদ্ধ জিয়োরজিয়াদজেকে, এবং আরেকজন মানুষকে, যে মানুষটি আমি বিশ্বাস করি, আমি নিজেই। অন্য ছবিটাও অরলভেরই, সেটা তার শৈশবের। আমি প্রথম ছবিটা তার হাতে তুলে দিলাম।

“ছবিটাতে আমি কিছুই তো দেখতে পাচ্ছি’’ নিচু স্বরে বললেন ব্লান্ট।

তিনি সিগারেট লাইটার জ্বালাতে চাইলেন। কিন্তু বাতাস লাইটারের শিখাটাকে বার বার নিভিয়ে ফেলার কারণে সেটা জ্বালাতে তাকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করতে হলো। শিখাটা যাতে নিভে না যায় সেজন্য তিনি হাতের তালু দিয়ে লাইটারটা আড়াল করলেন এবং ছবিটার খুব কাছে নিয়ে দেখতে থাকলেন।
“ওই লোকটাকে কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন?” আমি বললাম। “ওই যে বাঁ দিকে… একেবারে বাঁ দিকে দেখেন...”
“হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি। ”
“আপনি কি তাকে চেনেন?”
“না। ”

তিনি ছবিটার ওপর ঝুঁকে পড়ে দেখতে থাকলেন। তার হাত কপালে ঠেকানো, লাইটারের আলোটাকে হাত দিয়ে আড়াল করে ছবিটা দেখছেন।
“আপনার কি মনে হয় না ওই লোকটা আমার মতো দেখতে?”
“আমি জানি না। ”

কয়েক সেকেন্ড তিনি ছবিটাকে তীক্ষ্ণ চোখে দেখলেন, তারপর আমাকে ফিরিয়ে দিলেন।
“আমার সঙ্গে যখন পরিচয় হয় গে তখন ঠিক এরকমই দেখতে ছিলো”বিমর্ষ কণ্ঠে বললেন তিনি।
“এ ছবিটা তার শৈশবের। ”

ছবিটা তার হাতে দিলাম, তিনি সেটাকে আবার লাইটারের আলো দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন। তখনও হাত দিয়ে আলোটা আড়াল করে দেখছেন তিনি, হাতটা তার কপালে ঠেকানো। মনে হলো কোনো অপারেশন টেবিলে জটিল কোনো রোগীকে তন্ন তন্ন করে দেখছেন কোনো পর্যবেক্ষক।
“সে ছিলো দারুণ সুন্দরী একটা মেয়ে,” বললেন তিনি। “ওর আর কোনো ছবি কি আপনার কাছে আছে?”
“দুর্ভাগ্যজনক হলেও নেই। আপনার কাছে আছে?”
“আমাদের বিয়ের ছবিটা ছিলো, কিন্তু সেটা আমেরিকায় আমি খুইয়ে এসেছি... তার আত্মহত্যার খবর ছাপা হয়েছিলো যে সংবাদপত্রে, সেই পেপার কাটিংটাও হয়তো আমি হারিয়ে ফেলেছি…”

তার মার্কিনী উচ্চারণ, প্রথমে যা ধরতে পারাই কষ্টকর, ক্রমশ জোরালো হতে থাকলো। কিছুটা ক্লান্তও কি?
“বাড়ি ফেরার আগে আপনি কি প্রায়ই এভাবে এরকম জায়গায় সময়ক্ষেপণ করে বাড়ি ফেরেন?”
“অনেক, অনেক সময় কাটাই এভাবে। ব্যাপারটা বেশ ভালোই... আমার স্ত্রী এতে দারুণভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন...”
বাতাসের তোড় এতোটাই জোরালো যে একটা সিগারেট ধরাতে তাকে ভীষণ বেগ পেতে হলো।
“গে নিশ্চয়ই অবাক হতো আমাকে এ অবস্থায় দেখলে...”
তিনি আমার গা ঘেঁষে দাঁড়ালেন এবং তার একটা হাত আমার কাঁধে রাখলেন।
“হে বৃদ্ধ, তার ভাবনাটাই ঠিক, কি মনে হয় আপনার... বুড়ো হওয়ার আগেই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়াই তো ঠিক…”
আমি তার দিকে তাকালাম। তার চেহারার সবকিছুই গোল। তার মুখশ্রী, নীল চোখ, এমনকি তার সরু গোঁফটাও ধনুকের মতো বাঁকা করে কাটা। মুখটাও গোল, চিবুক এবং থলথলে হাত দুটোও একইরকম দেখতে। তিনি সেই বেলুনবাহী শিশুদের কথা মনে করিয়ে দিলেন, যে শিশুরা গ্যাসভরা বেলুনের সুতাটা হাতে ধরে রেখে বেলুনগুলোকে শূন্যে ছেড়ে দিয়ে দেখে কতদূর সেগুলো উড়তে পারে। আর তার সেই নাম, ওয়াল্ডো ব্লান্ট, ওইরকমই স্ফীত, ফোলানো, অনেকটা ঠিক বেলুনের মতো।
“হে বৃদ্ধ, আমি ভীষণভাবে দুঃখিত যে গে সম্পর্কে আপনাকে বেশি কিছু বলতে পারলাম না ...”
ক্লান্তিভারে ন্যুব্জ লোকটির মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারলাম, পরাভূত। তাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। মনে হলো গড়ের মাঠের বাতাস তাকে এক ঝটকায় টেনে নিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কিন্তু আমার প্রশ্নের কোনো উত্তর আর জানা হবে না।

(চলবে)

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad