অর্ধেক চাঁদে
সমস্ত গ্রাম নাড়াক্ষেতে বেষ্টিত
নিজ পদতলে মচমচ করে ফাটি
শুষ্কবক্ষা রোগা নদী হতে দূরে
অর্ধেক চাঁদে আড়াআড়ি হয়ে হাঁটি
পেরিয়ে অপার ভাঙা শ্মশানের সিঁড়ি
মাঠ খুড়ে কত ভগ্নাবশেষ লাটিম
খুঁজে পাই; খুঁজে পাওয়া সব হতে দূরে
অর্ধেক চাঁদে আড়াআড়ি হয়ে হাঁটি
গঞ্জের যত মেশিনেরা গাঢ় ঘুমে
প্রোথিত রয়েছে শুয়ে আছে পরিপাটি
অনাত্নীয়ের অনাদর হতে দূরে
অর্ধেক চাঁদে আড়াআড়ি হয়ে হাঁটি
বেপরোয়া
সন্দেহাতীতভাবে শীত ভাবে
ভাবছিল—এই চিল তার,
ঘুরিয়া আসছে শীতে ভাববে আবার;
কিন্তু সে চিল, গেছিল উড়িয়া তার
বিভিন্ন ষড়-আকাশে
খোলা বাতাসে—
আজ বিশীর্ণ মালিকানা ভাসে
এখন শরৎকাল, চরাচরে হরতাল
মেঘেদের সাদা পিকেটিং;
এরইমাঝে চিল, সেই চিল—সোনালি ডানার!
জানার অনেক বাকি বকেয়াসমেত
উড়ন্ত জমে থাকে; কেউ তাকে ডাকবে না আর
তাও সে সবার হতে—একলা হবার হতে
বিনম্র ওড়ার দিকেই,
ঝাপটায় নিজেকে তাহার
মাতম
আমরা এসেছিলাম রতিবাহিত
হয়ে, তারপর বহুদিন অতিবাহিত
হয়ে; মৃত্যু হয়েছিল আমাদেরও
এখন আর আমরাও পৃথিবীতে নাই
নাই মানে নাই—
এই না থাকাই মেবি থেকে গেছে
না থাকার মতো করে তাই;
টের পাই ঘাড়হীন কাত হয়ে থাকা
আর টের পাই হাড়হীন—তবু ঝুঁকে
থাকা এক ফাঁকা এক সন্ধ্যার
সূর্যের অস্ত;
আমরা সমস্ত—মৃত, আর সেই কবে
মরে গেছি ব’লে;
সকাল হলেও আর জেগে উঠি নাই
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৪
শিল্প-সাহিত্য
তিনটি কবিতা | তানিম কবির
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।