ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সাখাওয়াত টিপুর কবিতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১১
সাখাওয়াত টিপুর কবিতা

অঙপুর আহা রঙপুর

কোথায় কোথায়
কতদূর এলে হে তম বিরহ
কার কথা ভেবে মিলনের বুকে বাকা হয়ে বহ

কত যে আকাশ
মাথায় তুলেছ কত তার ভার
ঘুমের সমান জাগিয়াছে প্রেম খোল মনোদ্বার

কথা কুট রস
মেঘের কি ডাক পরানের ভাষা
ফিনকির টানে বেরিয়ে পড়ছে খর ভালবাসা

কচি ধান খেত
কেন জানি দোলে পার্বতীর মাঠে
কে কহিবে সখি কে ডুবিল আজ তিস্তার তল্লাটে

বালি গাঁথা চোখ
স্বপনে বিভোর তুলতুল জলে
জাগিব যখন একা সে কি পাব পদ্ম ছেঁড়া ফুলে

কোন ঘাটে গিয়া
কার পাট করি জ্ঞানখড়ি হাতে
হৃদয় বড়ই উড়ে যাচ্ছে ঘোরে দেহ থিকা প্রাতে

তাজহাটে সখি
বিষ্ণুর চরণ কে কে বলি রাধা
নবাবি বাহার বিভঙ্গ ভাঙার পুঁথি হোক বাঁধা

ঘোরের ভিতর
ঘোরে কতটুকু কহতো সবুর  
কহতব্য রসে ভরা অঙপুর আহা রঙপুর   

১৪-১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০


দোদেল বান্দা হৃদয় চোর

ডান দিকে হায় প্রভুর বা হাত
বাম দিকে ধায় হারানো প্রেমিক
কি আনন্দে ধরিব গো সাঁই, যদি
কপাল সমান মানুষ না পাই

রূহের ভিতর লুকায়ে হৃদয়
আপন ছায়ায় আপনে মাড়াই
কোন রূপে আজ দুচোখ দেখাই
কেউ কি তাহার রাখছে খবর

আহা দেহ খানা রাখব কোথায়
কার ঘরে কার পরকে বোঝাই
দুই মাথা এক আজব খেলায়
দেহের ভিতর ঝাপ দিতে চায়

আলগা হলেই হাতের পরশ
দুই নাকি এক একের একক
ভজলে হৃদয় দুই দিকে যায়
মিলন নামের বিরহ বিলায়

কোন দেলে সই দিলের নাচন
কার মনে কার অচিন বচন
ভাষাই যখন ঘোরের স্বপন
ক্রিয়াই কেবল গরিবের ধন

খোদার আরশ কাপছে কেমন
ঘর ভাঙে কোন বিবির গোলাম
এলেম যখন কালামের মন
মানুষ মাত্রই ভোদাই চরণ

১ কার্তিক ১৪১৭/ঢাকা

কোন লিঙ্গে লিখিব সখির নাম?

কহিল কি কলিকাল- ‘দিলাম সেলাম’
কোন লিঙ্গে রাধা লিখিব তোমার নাম?
হাঁ কি বা না, উভয়ে তোমার বাস
কীবে আমি সাধিয়াছি অনিত্যসমাস

পড়িব তোমারে আঁকা বেকার হরফে
বাকা বাক্যে ফাকে ফাকে একের এককে
বিসম বাহুতে বসে খসায়েছ মন
তুমি কিন্তু ত্যাড়া হয়ে করিছ দর্শন

দেহের মাত্রার গুণ লব থিকা কম
হরের আত্মার নিচে তুমি নিচ্ছ দম
কোন লিঙ্গে সখা লিখিব সখির নাম
দেহ কি ভাষার পায়ে দিয়েছে প্রণাম

লব যদি বেশি হয় ভারে ভারে কাটে
আমি কিন্তু জাগিতেছি মুর্চ্ছনার খাটে
হর তবে ভারি হরি চিত্তের হারক
আমাদের ঠেলে দিল সমাজ-কারক

১০/৪/২০১০ ঢাকা

মায়ার সভ্যতায় আম্মাই সত্যপীর

নামে আমি মুর্চ্ছা যাই গো মা
মা গো নামে বেচে থাকে পদ
কোলে কোলে মায়ার মহিমা
কি ভাবে লিখিবে ভিন্ন মত

তুমিই পীরানে পীর মহা দস্তগীর
দুনিয়া মিথ্যার খাচা তুমি সত্যপীর
আমি মিথ্যা মা গো তুমি মহাত্মা সগীর

আমি যদি নাই থাকি মা গো
তুমি কেন সত্য রোগে ভোগ
কোন নামে তুমি তারে ডাক
রক্তে রক্তে সেই ছত্র লেখ

মায়ের মাংসের ভার বহিতেছি প্রভু
কোন বর্ণ নাই তার গন্ধ নাই কভু
কেন অর্থ ধরে তুমি নাম দাও তবু

কয় রেনু জলে শিশু আজ
মানুষ হয়েছে তা তো জান
বল কি এমন মানুষের কাজ
শ্রেণীর ভিতর শ্রেণী কেন টান

কোথায় পাঠালে তুমি একি সর্বনাস
মানব হব না আর হব কি আকাশ
কেন বহিতেছে মনু নিজ নিজ লাশ

আমি জানি তুমি বড়পীর
সারা জাহানের সাচ্চাধীর
যে পদে থাক না খুঁজে নেব
ঠিক ঠিক ভেবে ভেবে ভেব

মানুষ উনস্য পদ বড় হয়ে ফোটে
মনটারে তুলে দিছি পাখিদের ঠোটে
ওরা যেন ভালবাসে চক্ষু খুটে খুটে

১ লা বৈশাখ ১৪১৭/ ঢাকা

Shakhwat Tipu

 

বাংলাদেশ সময় ১৪১৪, মার্চ ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।