ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বিষয়: বাঙালির অভিবাসন ও রেস্তোরাঁ-বাণিজ্য

কামাল রাহমানের উপন্যাস ‘তাজতন্দুরি’

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১
কামাল রাহমানের উপন্যাস ‘তাজতন্দুরি’

ভারতবর্ষে তখন ইংরেজশাসনের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন ঘনীভূত হচ্ছে, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকা- ঘটে গেছে, ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়েছে, সূর্য সেনকে ঝোলানো হয়েছে ফাঁসিতে, তেত্রিশ কোটি মানুষের বিশাল দেশ ক্ষোভে-ঘৃণায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিদেশি শাসকদের বিতাড়নের জন্য।

প্রতিকূল ওই সময়ে অবিশ্বাস্যভাবে বাংলা-আসামের প্রান্তিক এক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বিলেতে আবাসন নিতে শুরু করে।

সাত সমুদ্র পেরিয়ে, অচেনা পৃথিবীতে, শতভাগ ভিন্ন ও বৈরী পরিবেশে ওই নিরীহ ও প্রায়-নিরক্ষর মানুষেরা নিজেদের শিকড় প্রোথিত করে প্রবল জাত্যাভিমানী, বিশ্ববিজয়গর্বিত এক মানবগোষ্ঠীর নিজভূমে। এটি তারা করে কোনো যুদ্ধ বা সংগ্রাম করে নয়, ¯্রফে পেশাজীবী হিসেবে। তাও এমন এক পেশায় যাতে নেই ওদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা! কীভাবে এটা সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গড়ে উঠেছে উপন্যাস কামাল রাহমানের উপন্যাস ‘তাজতন্দুরি’।

এটি কামাল রাহমানের প্রথম পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। ২০০৯ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় দৈনিক সংবাদে। তেরো পর্বের উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে বাঙালিদের অভিবাসনের ইতিহাস, এবং রেস্তোরাঁ-বাণিজ্যে বাঙালির বিশ্ববিজয়। উপন্যাসটি একই সঙ্গে ইতিহাস ও ফিকশন,  যাকে পশ্চিমা ভাষায় ‘ডকুফিকশান’ হিসেবে উল্লেখ করা যায়।

লেখকের দীর্ঘ সাধনা ও গবেষণার ফসল এই বইটি এবারের মেলায় প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স।

বাংলাদেশ সময় ০০২৫, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।