এবারের মেলার আয়োজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আমার চোখে পড়েনি। আগের বছরগুলির মতই গতানুগতিক মনে হচ্ছে, নতুনত্ব কিছু নেই।
এছাড়া আমি দেখেছি বইমেলা এলেই আবির্ভূত হয় কিছু উটকো অপ্রকাশক। কোন যোগ্যতায় এরা স্টল পান জানি না। আমার ধারণা, মৌসুুমি বিক্রেতাদের স্টল বরাদ্দ না দিলে, বইমেলার নীতিমালা প্রয়োগে কড়াকড়ি করলে জায়গা সঙ্কটের কিছুটা সমাধান হতে পারে।
এবারের মেলায় সময় প্রকাশন ৫০টির মতো বই আনছে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বই : গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, রাজনীতি বা শিশুতোষ। গত বছর আমাদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে ছিল আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ‘ওড়াউড়ির দিন’, মুনতাসীর মামুনের ‘পাকিস্তান জেনারেলের মন’। এছাড়া গত বছর আমরা করেছিলাম আনিসুল হক, সুমন্ত আসলাম, অরুণ চৌধুরীর উপন্যাস। করেছিলাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ধ্রুব এষের সায়েন্স ফিকশন ।
এবার বের হওয়া আমাদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ‘বহে জলবতী ধারা’ দ্বিতীয় খ-, মুনতাসীর মামুনের ‘মাদ্রিদে তিন বাঙাল’, বিনোদ দাশগুপ্তের ‘রাজনীতি ও কারাগার’, আফজাল হোসেনের ‘মানব ভ্রমণ’, আবেদ খানের ‘হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে’ ও ‘আনলো বয়ে কোন বারতা’ । এছাড়া এ বছর আমরা প্রকাশ করছি আনিসুল হক, মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকেরই বই।
বাংলাদেশ সময় ২১০০, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১