বাংলা একাডেমী ছোট জায়গা। এবারের মেলার আয়োজন মনে হচ্ছে সেই গতানুগতিক, আগের বছরগুলির মতোই।
তবে এবারের মেলার একটি ভালো দিক হচ্ছে, মেলায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। আমাদের দেশে এবারই প্রথম এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হলো।
প্রতি বছর যদি মেলায় পৃথিবীর একজন বড় কাউকে, বিখ্যাত কাউকে আনা হয়, তবে তা খুবই ভালো হয়। এভাবে দেখা যাবে বিশ বছরের মাথায় আমাদের দেশে বিশজন বিখ্যাত গুণী মানুষের আগমন ঘটে গেছে। এটা খুবই পজিটিভ দিক। পাঠকরা যারা একটু অন্যরকমভাবে ভাবেন, এরকম গুণী মানুষের সান্নিধ্যে গেলে তাদের চিন্তার অনেক দিক খুলে যাবে।
গত বইমেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে নির্মলেন্দু গুণের ‘গিন্সবার্গের সঙ্গে’, বদরুদ্দিন আহমেদের ‘পরিবেশ বিপর্যয়ের পথে বাংলাদেশ’, মোস্তাক আহমেদের ‘গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ’ এবং অজয় দাশুগুপ্ত ও রোবায়েত ফেরদৌসের ‘ব্যবসায় সাংবাদিকতা’।
এ বছর আমাদের উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে : বদরুদ্দীন উমরের ‘ডক্টর ইউনূসের দারিদ্র্য বাণিজ্য’, মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘বদরুদ্দীন উমর-এর গ্রন্থপরিচয়’, আবু সাঈদ খানের ‘প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতি ও সমকালীন সমাজ’ এবং সৈয়দ শাহেদুল্লাহর ‘শিক্ষা ও শ্রণী সম্পর্ক’।
বাংলাদেশ সময় ১৬২০, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১