ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

শিল্প-সাহিত্য

বইমেলায় সেমিনারে বক্তারা

‘গল্পগুচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নারী-ভাবনা যথার্থ ও নির্মোহভাবে বিশ্লেষিত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৩৮, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১

ঢাকা: ‘নারীদের মুখ বুজে সব অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করার যে প্রবণতা তা রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পেও উঠে এসেছে। তার গল্পে নারী স্বাধীনতা, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, পণপ্রথা- এসব বিষয়ে সমকালীন ভাবনা অত্যন্ত নিপুণভাবে প্রতীয়মাণ হয়েছে।



সোমবার বিকালে অমর একুশে বইমেলার মূলমঞ্চে আয়োজিত ‘গল্পগুচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নারী-ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ‘গল্পগুচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নারী-ভাবনা যথার্থ ও নির্মোহভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে। তার ছোটগল্পে সমকালীন নারীসমাজের হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা, নারীর অধিকার, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট। নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করলে এসব বিষয় আজকের সমাজেও স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে। ’

তারা আরও বলেন, ‘এ সময়কার নারীবাদী আন্দোলন একটি সময়োপযোগী বিষয়। তবে তা ফলপ্রসূ করার প্রয়াসটা প্রবল হতে হবে। তা না হলে রবীন্দ্রনাথের নারী-ভাবনার সংকটগুলো নিরসন অসম্ভব। ’

সমাজবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদা ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সানজিদা আক্তার, নারীনেত্রী মালেকা বেগম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহিনুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন প্রমুখ।

প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প নায়িকা-প্রধান এবং ভরাদ্রোহে উজ্জ্বল। তবে তাঁর গল্পগুচ্ছে নারীভাবনা অনেক বিবর্তনের মধ্যে এগিয়ে গেছে। ১৮৭৭ থেকে ১৯৪১ সময়কালে তাঁর নারীভাবনা এক অসম্ভব উন্মুক্ত স্থানে এসে পৌঁছায়। গল্পগুচ্ছে তিনি শুধু নারীকেই প্রাধান্য দেননি, নারীর প্রতি সমাজের আবেদন অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে উপস্থাপন করেছেন।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ গীতিবিচিত্রা ‘তুমি ঊষার সোনার বিন্দু’ পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘যুক্ত’, আবৃত্তিসংগঠন ‘কণ্ঠশীলন’ উপস্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পলাতকা’ কাব্যের নিষ্কৃতি কবিতা এবং নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মৃদঙ্গ’।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।