ফ্রান্সের প্যারিসের গ্রান্ড প্যালাইস জাদুঘরের দরজা খোলা হবে মধ্যরাতে। এজন্য ২২ জানুয়ারি শনিবার রাতে তীব্র শীতের মধ্যে হাজার হাজার শিল্পপ্রেমী মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন প্যারিসের গ্রান্ড প্যালাইসের সামনে।
দর্শনার্থীরা অনেকেই ভারী কোট পড়ে শীতে কাঁপতে কাঁপতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রতীক্ষা করছিলেন। অপেক্ষমাণদের উৎসাহিত করার জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করেছিল গরম পানীয় আর কিছু খুচরো খাবারের। দর্শকদের ধৈর্য যেন ছিল কান্তিহীন, কেননা এখানে প্রদর্শিত হবে ১৯ শতকের মাস্টার শিল্পী ক্লদ মনের নান্দনিক ২০০ কাজ। এটা এই দশকে এই জাদুঘরের সবচেয়ে বড় আয়োজন। অন্যদিকে ক্লদ মনেকে নিয়েও এটি স্মরণকালের বৃহৎ প্রদর্শনী।
গ্রান্ড প্যালাইসের সভাপতি জেন পল কুজেল বলেন, শুক্রবার থেকেই এ জাদুঘর নিয়মিত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে এবার দর্শকদের ভিড় আগের রেকর্ড অতিক্রম করে যাবে। এর আগে সেপ্টেম্বরে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল, তখন এখানে দর্শনার্থী ছিল ১ লাখের মতো।
কুজেল ফ্রান্সের এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, তিন রাত্রে এখানে প্রায় চার লাখের বেশি দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করা যায়। রাতের বেলা এই প্রদর্শনীতে আসলে আপনার বিশেষ এক অভিজ্ঞতা হবে, এক বিশেষ অনুভূতি অর্জন করবেন। মনে হবে আপনি একটি শো থেকে বের হচ্ছেন, একটি ডিস্কোগানের সুর-মূর্ছনা থেকে বের হচ্ছেন এবং এরপর আপনি ঝাঁপ দিচ্ছেন শিল্পকর্ম, পেইন্টিংস এবং রঙের জগতে।
এ প্রদর্শনী দেখার জন্য দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে লোক এসেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বও। হল্যান্ড থেকে প্রদর্শনীত আসা ব্রাহাম স্টিনিস বলেন, আমি নিজের জন্য যে সমস্ত ছবি আঁকি তা মনের অনুসরণেই আঁকি। আমার ছবির পথ মনেরই তৈরি। আর এ কারণেই তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যেও আমি অপেক্ষা করছি তার প্রদর্শনী দেখার জন্য।
শেষ রাতের তীব্র ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে আসা সাহসী দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিলেন আমেরিকান চলচ্চিত্র-তারকা জোডি ফস্টারও। তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছিলাম কাজ করতে এবং এখানে এসে যখন জানলাম মনের এ প্রদর্শনীর কথা, সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিই প্রদর্শনীটা দেখে যাওয়ার।
বাংলাদেশ সময় ২০২০, জানুয়ারি ২৩, ২০১১