ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সঙ্গীতে, স্মরণে কলিম শরাফী

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০
সঙ্গীতে, স্মরণে কলিম শরাফী

‘বাবা হিসেবে তাকে পেয়ে আমি সৌভাগ্যবতী। হাজারবার জন্ম হলেও যেন এই বাবার ঘরেই জন্ম হয়।

উনি ছিলেন আমার বন্ধু-বাবা। আর সবার কলিম ভাই। ’ কথাগুলো বললেন সদ্যপ্রয়াত দেশের প্রবীণতম রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সংগ্রামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কলিম শরাফীর কন্যা আলেয়া শরাফী।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘কলিম শরাফী স্মরণ’ অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল সঙ্গীত ও আলোচনার মোড়কে। অনুষ্ঠানে শিল্পীর জীবন ও তার সঙ্গীত-সাধনা সম্পর্কে আরো আলোকপাত করেন প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামান ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়, কলিম শরাফী আছেন, তিনি থাকবেন। নিত্য জীবনযাপনে আর তাকে পাব না, তবে তার স্বর অবিস্মরণীয়।

তিনি আরো বলেন, কলিম শরাফীর ছিল ঐশ্বরিক-অপার্থিব কণ্ঠ।

আনিসুজ্জামান শিল্পী কলিম শরাফীর দীর্ঘ জীবন ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ১৯২৪ সালের ৮ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় এক উর্দুভাষী পরিবারে জন্ম নিয়ে কলিম শরাফী কী আশ্চর্যজনকভাবে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করে গেছেন।

‘কলিম শরাফী হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার, হলেন সঙ্গীতশিল্পী। সঙ্গীতজীবন শুরু করলেন গণসঙ্গীত দিয়ে আর শেষ হলো রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে। দেশভাগের পর তিনি পাকিস্তানে এসে দেখেন তিনি কালো তালিকাভুক্ত শিল্পী। ’

কলিম শরাফীর শিল্পী জীবনের মূল্যায়ন করে আনিসুজ্জামান বলেন, কলিম শরাফী আমাদের জন্য যে সাংস্কৃতিক পরিবেশ রেখে গেছেন সেটাই আমাদের প্রতি তার অবদান।
 
উল্লেখ, কলিম শরাফী মারা যান ২ নভেম্বর। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় শিল্পীকন্যা আলেয়া শরাফীর বাবা সম্পর্কে বলার মাধ্যমে। পরে তিনি পরিবেশন করেন তার বাবার শেখানো রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘তোমার এ ঝর্ণাতলার নির্জনে’।

অনুষ্ঠানে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিতা হক, বুলবুল ইসলাম, শামা রহমান, মহিউজ্জামান চৌধুরী এবং ইফ্ফাত আরা দেওয়ান।

বাংলাদেশ সময় ২২৫২, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad