ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

কৃষি

কুড়িগ্রামে ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষকের ক্ষতি

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৮, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
কুড়িগ্রামে ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষকের ক্ষতি

কুড়িগ্রাম: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে এবার শেষ মুহূর্তের বন্যায় ২৬ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষকের প্রায় ৩১ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।

চলতি বছর অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যায়। বর্তমানে পানি নেমে যাওয়ার পর দৃশ্যমান হচ্ছে আবাদের ক্ষয়ক্ষতি।

কৃষকরা জানিয়েছেন, ২২-২৩ দিনের এ বন্যায় রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের সব রোপা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্ন নিভে গেছে তাদের।

অন্যদিকে পচা রোপা আমনের ক্ষেতে আর ধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামীতে কীভাবে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন তা ভেবেই দিশেহারা কৃষকরা। সরকারি প্রণোদনা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে উঠবে তাদের জন্য।

ছবি: বাংলানিউজ

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবারের বন্যায় ২৬ হাজার ৮০৫ হেক্টর ফসল পানিতে প্লাবিত হয়। এর মধ্যে রোপা আমন ২ হাজার ৭৯৬ হেক্টর এবং শাকসবজি ৬১ হেক্টর এবং বীজতলার ৬৭ হেক্টর জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।

জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষকের ৩১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে এই বন্যায়। এতে রোপা আমনে ২৯ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, শাকসবজি ১ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং বীজতলা ৭০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, নদ-নদীর পানি নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের ৬০০ হেক্টর বীজতলা এখন তাদের কাজে লাগছে। চরাঞ্চলে স্থানীয় জাতের ধান নতুন করে বপন করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে যে বীজতলা করে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে বীজ নিয়ে কাজে লাগাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকরা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ উপ-পরিচালক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।