ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

দেশে ১ লাখ টন মধু উৎপাদন সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
দেশে ১ লাখ টন মধু উৎপাদন সম্ভব বাংলাদেশি মধু ব্র্যান্ডিং নিয়ে কর্মশালা

ঢাকা: বাংলাদেশের মৌচাষিদের দিয়ে ২৫ হাজার টন থেকে ১ লাখ টন পর্যন্ত মধু উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মাতেজা ডামেস্টিয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আনুমানিক ২৫ হাজার মৌচাষি আছেন, যাদের দিয়ে বছরে মাত্র ৩ হাজার টন মধু উৎপাদিত হয়। একারণে চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মধু আমদনি করতে হয়।

এজন্য মৌচাষিদের মধু উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে দক্ষতা বাড়াতে পারলে ভালো মানের মধু উৎপাদন সম্ভব। যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর এসএমই ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশি মধু ব্র্যান্ডিং নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাতেজা ডামেস্টিয়া।  

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যন মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখায়েরর সভাপতিত্বে কর্মশালায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিসিকের নকশা ও বিপণন বিভাগ এবং প্রিজম প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, বিসিকের পরিচালক (উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) জীবন কুমার চৌধুরী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ শাখওয়াত হোসেন, প্রিজম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেত, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পরিচালক মালা খান, বিসিকের মৌচাষ প্রকল্পের পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান।

মাতেজা ডামেস্টিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের আওতায় ৮ মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মধু ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছেন। মূল প্রবন্ধে মধুর বৈশ্বিক উৎপাদন-বাজার, বাংলাদেশে মধু চাষ এবং উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মধু আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করাতে আলাদা আলাদা ব্র্যান্ডিং না করে বাংলাদেশি মধু বা মেইড ইন বাংলাদেশ নামে ব্র্যান্ডিং করার পরামর্শ দেন মাতেজা ডামেস্টিয়া। এজন্য মৌচাষিদের এলাকা বা ক্লাস্টার ভিত্তিক সংগঠিত করে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং নীতিগত সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।  

তিনি জানান, স্লোভেনিয়া বাংলাদেশ থেকে মধু আমদানি করে তা পরিশোধন করে মেইড ইন স্লোভেনিয়া নামে মধু বাজারজাত করে যা ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। ভারতও বাংলাদেশ থেকে মধু আমদানি করে নতুন মোড়কে তা আবার বাংলাদেশেই রপ্তানি করে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে যে পরিমাণ মৌচাষি আছে তা দিয়ে মধুর উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব। এজন্য মধু উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কার্যকরী ফোরাম তৈরি করে কাজ করতে হবে। এছাড়া মধুর মানের দিকেও নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।