ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

আমন ধানের চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ ৬৫৭ মিল মালিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
আমন ধানের চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ ৬৫৭ মিল মালিক চলছে চাল সংগ্রহ। ছবি:করেসপন্ডেন্ট কাওছার উল্লাহ আরিফ

বগুড়া: বগুড়ায় সরকারিভাবে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ আমন ধানের চাল সংগ্রহ অভিযান। সরকারকে চলতি মৌসুমে চাল দিতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জেলার ৬৫৭ জন লাইসেন্সধারী মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। 

৬৫৭ মিলের মধ্যে ৬৩৯টি হাস্কিং ও ১৮টি অটোমেটিক রাইস মিল। চুক্তি অনুযায়ী এসব মিল থেকে ৩৯ টাকা কেজি হিসেবে চাল কিনবে সরকার।


 
বরাদ্দ অনুযায়ী চলতি মৌসুমের খাদ্য বিভাগ জেলার লাইসেন্সধারী মিলারদের কাছ থেকে মোট ৩২ হাজার ৩০৮ মেট্রিকটন আমন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০ হাজার ৭৯৯ মেট্রিকটন চাল দিতে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৬৫৭ মিলার। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৫৬০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে।  

এ জেলায় এক হাজার ৯৪৮ জন লাইসেন্সধারী মিলার রয়েছেন। কিন্তু গেলো মৌসুমে চাল দিতে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরও সিংহভাগ মিলার লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে সরকারকে চাল দেননি। চুক্তি ভঙ্গের কারণে সেসব মিলারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এবার চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
সরকার আগের বার প্রতি কেজি চালের দাম নির্ধারণ করেছিলো ৩৩ টাকা। সে অনুযায়ী এ জেলা থেকে ২২ হাজার ৬৯৬ মেট্রিকটন চাল দিতে মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হলেও শেষ অবধি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

এবার সরকার প্রতি কেজি চালের দাম ৩৯ টাকা নির্ধারণ করলেও বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ধান কিনে চাল করতে পরতা করতে পারছেন না সিংহভাগ ব্যবসায়ী। পাইকারি বাজারে চালের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে কোনো প্রভাব পড়ছে না। আবার ধানের বাজারদরও চড়া। ফলে এবারও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন মিলার। তবে তারা বাংলানিউজের কাছে নাম প্রকাশে রাজি হননি।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৩ ডিসেম্বর থেকে এ জেলায় অভ্যন্তরীণ আমন চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
 
এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় দুই হাজার ২৮৮ মেট্রিকটন, শাজাহানপুরে এক হাজার ৫৫ মেট্রিকটন, শিবগঞ্জে এক হাজার ৭৭৭, সোনাতলায় দুই হাজার ৭২৭, গাবতলীতে চার হাজার ৬৬০, সারিয়াকান্দিতে এক হাজার ২৮৩, ধুনটে ৪২৬, শেরপুরে ছয় হাজার ৪৭৭, নন্দীগ্রামে ৪২২ মেট্রিকটন, কাহালুতে এক হাজার ৮৪০, দুপচাঁচিয়ায় চার হাজার ৩৮৭ ও আদমদীঘিতে চার হাজার ৯৬৭ মেট্রিকটন চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এসব চাল জেলার ২৩টি লোকাল সাপ্লাই ডিপোতে (এলএসডি) কেনা হবে।
 
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এটিএম আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর প্রত্যেক মিলার প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী চাল দিতে বাধ্য। সে অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ মিলাররা গুদামে চালও সরবরাহ করছেন। এতে শঙ্কা বা ভয়ের কিছু নেই।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাইন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মিলার বা চাল ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চালের দাম নির্ধারিত হয়েছে। সে অনুযায়ী মিলাররা সরকারকে চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই এবার চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এমবিএইচ/এসএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।