ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

‘বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিটি বেগুন নজরদারি করছে সরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
‘বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিটি বেগুন নজরদারি করছে সরকার’

ঢাকা: সরকার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিটি বেগুন নিয়মিতভাবে নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে আইসা, বিরি ও ব্রাক-এর যৌথ আয়োজনে ‘গ্লোবাল অ্যানুয়াল রিভিউ অব বায়োটিচ/জিএমও ক্রপস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, গত দু’বছর বিরি প্রচুর পরিমাণ বিটি বেগুন বীজ উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মাঝে তা বিতরণ করে। দেশের ১৯টি জেলায় ১১০ জন কৃষক কীটনাশক ছাড়াই এসব ফসল উৎপাদন করছে। চলতি বছরে ৩শ‘ কৃষক বিটি বেগুন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। আগামী বছর আরও বেশি কৃষকের মাঝে এ বীজ বিতরণ করা হবে। সরকার বিশেষজ্ঞ দিয়ে বিটি বেগুন নিয়মিতভাবে নজরদারি করছে।
তিনি দরিদ্রদের জন্য বায়োটেকনোলজি ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বায়োটেকনোলজি বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও টেকসই পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে অবদান রাখতে পারবে বলে কৃষিমন্ত্রী জানান।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, গত দুই দশকে ট্রানজেনিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে। জেনেটিক্যাল পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদিত জিএম ফসলের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ২৮টি দেশের ১৮ মিলিয়ন কৃষকের মাধ্যমে ১৮১.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে জিএম ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে এবং এ চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বায়োটেকনোলজি ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশে জৈব প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়ন বৃদ্ধিতে দাতা সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। ক্যানোলা, সয়াবিন, পোকা মাকড় প্রতিরোধী বিটি কটন, বিটি মাজাইন, বিটি এগপ্লান্ট, রোগ প্রতিরোধী আলু, লবণাক্ত ও বন্যা সহিষ্ণু গোল্ডেন রাইস ফসল গবেষণায় জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

সেমিনারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, বিএআরআই’র মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল, আইসা’র গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর রেন্ডি এ হায়ুতা।

সেমিনারে ‘বায়োটিচ ক্রপস অ্যান্ড বায়োটিচ ক্রপ হাইলাইটস ইন ২০১৫’ শীর্ষক রিপোর্ট বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন মতিয়া চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
আরইউ/জিসিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।