ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কড়াইলে প্রথম দিন ১৫০০০ টিকা দেওয়ার টার্গেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
কড়াইলে প্রথম দিন ১৫০০০ টিকা দেওয়ার টার্গেট

ঢাকা: রাজধানীর মহাখালী কড়াইল বস্তিতে করোনা টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ কর্মসূচির প্রথম দিন।

সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। কড়াইল বস্তির বাসিন্দারা তাদের ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে টিকা নিতে ২৫টি বুথে যাচ্ছেন। নারী ও পুরুষদের জন্য করা হয়েছে আলাদা বুথ।

এ বস্তির আটটি স্পটে মোট ২৫টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে এরশাদ স্কুল মাঠে রয়েছে ৬টি বুথ। প্রতিটি বুথে ২ জন টিকাদান কর্মী ও দুই জন করে ভলান্টিয়ার রয়েছেন। কড়াইলে টিকাদান কর্মসূচির বেজ ক্যাম্প করা হয়েছে এরশাদ স্কুল মাঠে।  তিনটি নারী বুথ ও তিনটি পুরুষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

টিকা দান কর্মসূচির প্রথম দিনেই ১৫ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন টেকনিক্যাল অ্যাভাইজার ডা. মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, কড়াইল বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচির আজ প্রথম দিন। ১৫ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। কড়াইলের আটটি স্পটে ২৫টি বুথে ১৫ হাজার টিকা দেওয়া আমাদের টার্গেট। এরপর যদি টিকা অতিরিক্ত থেকে যায় তবে সেগুলো ইপিআই স্টোরে ফেরত পাঠানো হবে। আগামী সাতদিন এ কর্মসূচি চলবে। আজ প্রথম দিনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কড়াইলের বেজ ক্যাম্পের ছয়টি বুথে মোট ৩৭৭ জন নারী-পুরুষ টিকা গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, সকাল ৮টার দিকে আমরা স্পটে এসে পৌঁছেছি। সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। টিকাদান কর্মসূচি চলবে সাত দিনব্যাপী।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস।  

এদিকে করোনা টিকা নিয়ে বস্তির বাসিন্দারা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন।  

কড়াইল বস্তির মোশারফের বাজারের ক্যাম্পে রয়েছে দুটি বুথ। একটি নারী ও একটি পুরুষ বুথ। সেখানে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সারিবদ্ধভাবে সবাই টিকা নিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।  

এদিকে বুথগুলোতে যাতে কোনো ঝামেলা বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য কড়াইলের আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা কাজ করছেন। সেই সঙ্গে তারা নজর রাখছেন যাতে কড়াইলের বাসিন্দা ছাড়া বহিরাগত কেউ টিকা নিতে লাইনে না দাঁড়ায়।  

এ ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবী কর্মী নাফিজ কালাম নিবির বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্পটে দুটি বুথ রয়েছে। দুটিতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। এখানে সবাই টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে আসছেন। যাদের এ দুটির একটিও নেই তাদের কাউন্সিলর অফিস থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র নিতে হচ্ছে। এছাড়া আমরা অনস্পর্ট টিকা গ্রহীতাদের রেজিস্ট্রিশন করেই তাদের টিকা দিচ্ছি।

বস্তির বাসিন্দা সুমি আক্তার। তিনি বাসাবাড়িতে কাজ করেন। টিকাদান কর্মসূচির কারণে তিনি আজ ছুটি নিয়েছেন।  

টিকার ১ম ডোজ নিয়ে ফেরার পথে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি অনেক খুশি। কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাড়ির কাছের কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পেরে। সরকার আমাদের দিকে তাকাইছে।

তিনি বলেন, টিকা নিতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার পর ওই ডাক্তার আপা বলেছেন, যেখানে সুঁচ ফুটাইছে, সেখানে যাতে কোনো ডলাডলি না করি। গরম ছ্যাকাও দিতে মানা করেছে।

ঝামেলা ছাড়া টিকা নিতে পেরে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কড়াইলের বাসিন্দা গাজীবর মিয়া। তিনি একজন ভ্যান চালক।

এদিকে সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়ামে জরুরি কোভিড-১৯ টিকা পরিবহনে নিয়োজিত রেফ্রিজারেটেড ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, কড়াইল বস্তিতে করোনা টিকা শুরু হবে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর)। সাতদিন এ কর্মসূচি চলবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বস্তিতে টিকা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।