ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

চিকিৎসার নামে প্রতারণা, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
চিকিৎসার নামে প্রতারণা, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আটক ৩ প্রতারণার অভিযোগে আটক তিনজন

বাগেরহাট: চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে বাগেরহাটে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।  

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা সদর উপজেলার পাটরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।

আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।

আটকরা হলেন- বাগেরহাটের উপজেলার সোনাডাংগা গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার মো. মিজানুর রহমান (৩০), বাগেরহাট সদর উপজেলার কোড়ামারা গ্রামের বাবর আলী মল্লিকের ছেলে জুয়েল মল্লিক ও একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মো. মাহফুজুর রহমান (৩৪)।  

আটকদের মধ্যে মিজানুর মোরেলগঞ্জ ইউনিয়নের বিষখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। আটকরা দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ান ডিজিটাল চক্ষু হাসপাতালের নামে ক্যাম্প করছিলেন।

প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হিসেবে ২৬৫/এ, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, ঢাকা-১২০৪ ব্যবহার করতেন এই প্রতারকর চক্রটি। তারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষদের স্বল্প মূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

পাটরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ মো. রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের প্রচার করে প্রতারক চক্রটি। সকালে তারা পাটরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে একটি ব্যানার টাঙিয়ে চক্ষু ক্যাম্প শুরু করেন। রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে ৫শ থেকে ৬শ টাকা নেওয়ায় এবং তাদের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তারা স্থানীয় খানজাহান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এসএস লিয়াকত হোসেন ননীকে ইনজেকশন পুশ করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ক্যাম্পের প্রতারক চক্রের ওই তিন জনকে আটক করলে তারা তাদের প্রতারণার কথা শিকার করে টাকা ফেরত দিতে চান। পরে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) পান্নু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, চক্ষু ক্যাম্পের নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রটি। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের আটক করে থানায় খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুফতি কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার কোনো স্টাফের অপরাধের দায়ভার আমি নেব না। তবে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad