ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

নভেম্বরেই হৃদরোগ হাসপাতালের বর্ধিত অংশে চিকিৎসা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
নভেম্বরেই হৃদরোগ হাসপাতালের বর্ধিত অংশে চিকিৎসা শুরু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) হাসপাতালের বধিত অংশে চিকিৎসাসেবা চালু করা যাবে।

এতে স্বল্পমূল্যে দেশের আরও বেশি মানুষ হৃদরোগের চিকিৎসা পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এ হাসপাতালে আগে ৪১৪ শয্যা ছিল। আর বর্ধিত অংশের কাজ শেষ হলে এক হাজার ২৫০ শয্যায় উন্নীত হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনায় সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কমেছে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতালে আলাদা করে ১৫-২০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। আমরা ৭৮টি হাসপাতালে সেন্টার অক্সিজেন লাইন স্থাপন করার অনুমোদন দিয়েছি। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা স্থাপন করেছি। এখন হাসপাতালের আইসিইউগুলো ভালো চলছে। আমরা অল্প সময়ে অনেক কাজ করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শীতকালে দেশে আবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই সবাইকে মাস্ক করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকতে হবে। এছাড়া শীতকালে যেসব অনুষ্ঠান বেশি হয়, সেসব অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে করার অনুরোধ করেন তিনি।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানের করার জন্য ওসিটি মেশিন, রোটা বোটার মেশিন, কার্ডিয়াক এমআরআই মেশিন দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দীন বলেন, এ হাসপাতালে ৪১৪ শয্যা থাকলেও প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী ফ্লোরে থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে এখান থেকে আরও অনেক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া যাবে। দেশের অনেক মানুষ উপকৃত হবে।

অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
পিএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।