ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

করোনা: সাপ্তাহিক ছুটির জন্য ঢাকার আটটি ল্যাবে পরীক্ষা হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
করোনা: সাপ্তাহিক ছুটির জন্য ঢাকার আটটি ল্যাবে পরীক্ষা হয়নি

ঢাকা: সারাদেশে ৪১টি পিপিআর ল্যাব চালু আছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২০টি আর ঢাকার বাইরে ২১টি। ঢাকার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১২টি ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আটটি ল্যাবে পরীক্ষার রেজাল্ট আসেনি।

শনিবার (১৬ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঢাকার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিন হাজার ৩২০টি ও পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৭২৪টি।

এদের মধ্যে পজিটিভ এসেছে ৬০৫টি। ঢাকার বাইরে ২১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিন হাজার ১৮১টি ও পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৫৮টি। পজেটিভ এসেছে ৩২৫ টি।

নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এই ৩৩টি ল্যাবের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ৫০১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৭৮২টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৭৯৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত ৯৩০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৯৫ জনে।

তিনি বলেন, মৃত ১৬ জনের মধ্যে সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন। ঢাকা বিভাগের ১২ জনের মধ্যে ঢাকা সিটিতে সাত জন, ঢাকা জেলাতে দুইজন, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জে একজন করে। চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে দুইজন রয়েছেন। বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৭১-৮০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্য একজন রয়েছেন। ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২৩৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ১১৭ জন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৪৯ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৫১০ জন। অদ্যাবধি কোয়ারিন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৯১৪ জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৮৮ ৭৭৩ জন। বর্তমানে কোয়ারিন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার ১৪১ জন।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুতি। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ৮ হাজার ৬৩৪টি। ঢাকার ভিতরে আছে দুই হাজার ৯০০টি। ঢাকা সিটির বাহিরে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩২৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০২টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
পিএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।