ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

পর্যায়ক্রমে করোনা পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে: ডা. ফ্লোরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
পর্যায়ক্রমে করোনা পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে: ডা. ফ্লোরা মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

ঢাকা: সরকারের রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষা আইইডিসিআর-এ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা যদি বাড়ে তাহলে এ পদ্ধতিটি সম্প্রসারিত করা হবে। আইইডিসিআর এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা পদ্ধতি সম্প্রসারিত করা হবে। বিভাগীয় শহরেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

বুধবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টায় মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ডা. ফ্লোরা বলেন, করোনার পরীক্ষা পদ্ধতি সম্প্রসারিত করে ঢাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে স্থাপন করা হবে।

ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরেও এ কার‌্যক্রম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

‘রাজধানীতে ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে। পরবর্তীতে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এই পরীক্ষা করা হবে। ’

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে আজকে বা কালকের মধ্যেই এই পরীক্ষা চালু শুরু হয়ে যাবে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে আইইডিসিআর এর একটি ফিল্ড ল্যাবরেটরি আছে সেখানেও পরীক্ষা পদ্ধতিটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

‘এছাড়া বিভাগীয় শহরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এটি চালু হবে। পরবর্তীতে বরিশালের শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্প্রসারণ করা হবে। যে সকল মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন তারা যেন পরীক্ষা করতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়অ হয়েছে। ’

ডা. ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ জন হয়েছে। মোট মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সবশেষ যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৬৫ বছর। তিনি একজন বিদেশফেরতের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

‘১৮ মার্চ তার শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। তিনি প্রথমে এলাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। পরবর্তীতে আমাদের মাধ্যমে উনার চিকিৎসা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন । ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এমন আরো দুইজন পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষার পর নেগেটিভ ফল আসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।

করোনা প্রতিরোধে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়র পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিআরের পরিচালক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
পিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।