ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাস: ঢাকা ছাড়া সব বন্দরেই অব্যবস্থাপনার চিত্র

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
করোনা ভাইরাস: ঢাকা ছাড়া সব বন্দরেই অব্যবস্থাপনার চিত্র .

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেওয়া হলেও ঢাকা ছাড়া দেশের কোনো বন্দরেই তেমন জোরালো নজরদারি নেই। এমনকি করোনা শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নেই। 

চীনের উহান থেকে বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নতুন করোনা ভাইরাস। এর ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে বৈশ্বিক সর্তকতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তারপরেই এই ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব বন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে সরকার।  

কিন্তু বাস্তবতা হলো- শুধু রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই রয়েছে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। অন্য সবখানে শুধু থার্মোমিটার দিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে এখনো বসানো হয়নি থার্মাল স্ক্যানার। হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা চলছে। বিদেশি জাহাজের নাবিকরা বন্দরে সংরক্ষিত এলাকা পেরিয়ে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম নগরীতে।

যশোরের বেনাপোল বন্দরের থার্মাল স্ক্যানারের মনিটর নষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদেই সীমাবদ্ধ পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে স্থাপিত মেডিক্যাল ক্যাম্পের কার্যক্রম।  

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শুধু পায়ে হাঁটা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারত থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভাররা থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বাইরে। এরকম ঢিলেঢালাভবে চলছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম।

এদিকে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরইমধ্যে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজারের বেশি। চীনের বাইরে ২৫টি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন আড়াইশর বেশি মানুষ।  

এছাড়া সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশীকে সনাক্ত করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ৮ রুমমেটকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত স্বাস্থ্য সচেতনতায় করণীয় শীর্ষক বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার ২৪৫ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর মেডিক্যাল স্ক্রিনিং সম্পন্ন করেছে। সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬,১৬২ জন, নৌ-বন্দরে ২৪০ জন এবং সমুদ্র বন্দরসমূহ ৬,২২৪ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং সম্পন্ন করা হয়।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যপাক ডা. মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, সেটি আরও জোরদার করতে হবে। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করতে হবে। যারা প্রত্যেক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন। দেশের সব এন্ট্রিপয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে হবে। এসবের পাশপাশি জনসচেতনামুলক কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে।

যদিও স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়মিতভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভাগীয়, জেলা ও উপাজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাদের করণীয় সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। কারো কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দু’একটি জায়গায় কিছু শিথিলতা থাকতে পারে, তবে সামগ্রিক প্রস্তুতি ভালো।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একামাত্র থার্মাল স্ক্যানারটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬০০ যাত্রী এই বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। হ্যান্ডহেল স্ক্যানার দিয়েই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙ্গরে প্রতিদিন শতাধিক জাহাজ অবস্থান করে। এসব জাহাজে গড়ে ৩২ থেকে ৪০ জন নাবিক থাকেন। সেই হিসেবে বন্দরে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার নাবিক অবস্থান করেন। জাহাজে অবস্থানের সময়ে তারা বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা পেরিয়ে নগরীতে প্রবেশ করেন। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।  

তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়নি। হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে যাত্রী ও নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য যা যথেষ্ট নয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারী বাংলানিউজকে বলেন, করোনা সতর্কতা হিসেবে তিন স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনটি জায়গায় নাবিকদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। চীন থেকে কোনো জাহাজ এলে নাবকিদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে শতভাগ। এখনো পর্যন্ত সন্তেহজনক কাউকে পাওয়া যায়নি।

বেনাপোল: যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের থার্মাল স্ক্যানারটি সচল থাকলেও কাজ করছে না মনিটর। এছাড়া কলকাতাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা থাকছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার বাইরে। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সেখানে ৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। বেনাপোল একটি আন্তজার্তিক স্থলবন্দর। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এই বন্দর অতিক্রম করে। নতুন করোনা ভাইরাস যাতে বাংলাদেশে আসতে না পারে, সেজন্য ১৮ জানুয়ারি থেকে বন্দর অতিক্রমকারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন বন্দরে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. বিচিত্র মল্লিক।

বাংলাবান্ধা: জিজ্ঞাসাবাদেই সীমাবদ্ধ পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে স্থাপিত মেডিক্যাল ক্যাম্পের কার্যক্রম। চীনের প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য এই বন্দর ব্যবহার করা হয়। অথচ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর অতিক্রমকারী যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাচি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা হচ্ছে কি না তা শুধু জিজ্ঞাসাবাদে সীমাবদ্ধ। মেডিক্যাল ক্যাম্পে মাত্র দুটি থার্মোমিটার ছাড়া কোনো যন্ত্রপাতি নেই, রয়েছে জনবল সংকট। তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোকলেছার রহমান জানান, লক্ষণগুলোর মাত্রাতীতভাবে কারো ধরা পড়লে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগীতায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ক্যাম্পে কোন মেডিকেল অফিসার ও শনাক্তকরণ যন্ত্র নেই।

ভোমরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শুধু পায়ে হাঁটা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম এই দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় এখনো আনা হয়নি। এ প্রসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিত সরকার বলেন, ড্রাইভাররা গাড়িতে থাকেন। রাস্তার ওপর শত শত গাড়ি থামিয়ে চেকআপ করা হলে বন্দরে যানযট বেড়ে যায়। তাই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না।

আখাউড়া: আখাউড়া স্থলবন্দরেও হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানারে চলছে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দরে স্থাপিত মেডিক্যাল ক্যাম্পে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, আখাউড়া চেকপোস্টে মিনি স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষার কাজ চলছে। কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেলে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

সিলেট: সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার অকোজো থাকায় স্বাভাবিক থার্মোমিটার দিয়ে যাত্রীদের স্ক্যান করা হচ্ছে।  

বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, চীনের সঙ্গে সিলেটের সরাসরি ফ্লাইট নেই। এজন্য সেখান থেকে কেউ এলে ঢাকায় ট্রানজিট দিয়ে আসতে হয়। তবে এখানে থার্মাল স্ক্যানারটি অকেজো রয়েছে।

দিনাজপুর: দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে মেডিক্যাল টিমের নামে বসিয়ে রাখা হয়েছে একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে। নেই কোন যন্ত্রপাতি। অথচ এই ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী। গত ৩১ জানুয়ারি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে চীন থেকে পালিয়ে আসা ইউনান ইউনির্ভাসিটির এক শিক্ষার্থী। চীন থেকে ভারত হয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

জনসচেতনতায় সীমাবদ্ধ কুড়িগ্রামের দুই স্থবন্দর: জনসচেতনতায় সীমাবদ্ধ কুড়িগ্রামের দুই স্থালবন্দর ভুরুঙ্গামারী ও রৌমারী। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাহিদা জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমরা পাবো। রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারীতে রয়েছে একটি বর্ডার হাট। মালামাল পরিবহনের জন্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দর। এছাড়া রৌমারী ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করছে। ফলে বাইরে থেকে মানুষের মাধ্যমে এ ভাইরাস আসার আশংকা সবার। চলতি মাসে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ৫০০ ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এসব চালকদের কোনোভাবেই পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি।

চীনফেরত একজন রংপুর থেকে ঢাকায়: রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চীন ফেরত শিক্ষার্থীকে ঢাকায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

সোমবার রাজধানীর মহাখালীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চীনফেরত ওই শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই। তবে তার কিডনি সমস্যা রয়েছে। যেহেতু সে চীনফেরত, সে কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবালা ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি রোববার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চীন থেকে বাংলাদেশে আসে। ‘শ্বাসকষ্ট ও বমি’ হওয়ায় তাকে রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এমএএম/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।