ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

আইসিডিডিআরবির ১৫তম অ্যাসকড-এ নিবন্ধনের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
আইসিডিডিআরবির ১৫তম অ্যাসকড-এ নিবন্ধনের আহ্বান

ঢাকা: আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫তম ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক এশীয় সম্মেলনের (অ্যাসকড-২০২০) আয়োজন করতে যাচ্ছে। এজন্য আগ্রহীদের নিবন্ধন করার ও গবেষণা সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইসিডিডিআরবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন ও গবেষণা সারসংক্ষেপ (অ্যাবস্ট্রাক্ট) জমা দেওয়ার জন্য অ্যাসকড ২০২০-এর ওয়েবসাইটটি (www.ascodd.net) এখন উন্মুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে নিবন্ধনের জন্য মূল্যছাড় পাবেন। সম্মেলনে অংশ নিতে নির্বাচনের ভিত্তিতে সীমিত সংখ্যক নবীন বিজ্ঞানীদের ভ্রমণ অনুদান (ট্র্যাভেল গ্রান্ট) দেওয়া হবে।

আগামী বছরের ২৮-৩০ জানুয়ারি ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেটির প্রতিপাদ্য- ‘টাইফয়েড, কলেরা ও অন্যান্য আন্ত্রিক রোগের সঙ্গে পুষ্টি-সংশ্লিষ্ট ব্যাধির সম্পর্ক: মানবিক বিপর্যয়ের যুগে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ’। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ও তাৎপর্য বর্তমান সময়ের দু’টি আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ- কলেরা ও টাইফয়েডকে ঘিরে। যা বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করে এবং তিন লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সম্মেলনে আন্ত্রিক সংক্রমণ, পুষ্টি, নীতি এবং প্রচলিত অনুশীলনের সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করা হবে। এক্ষেত্রে, বর্তমান বিশ্বের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সম্মেলনে চারটি বিশেষ সিম্পোজিয়াম রাখা হয়েছে, সেগুলো হলো- ক) টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন: এশিয়া ও আফ্রিকাতে ব্যবহারের সম্ভাবনা, খ) ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলকরণ: উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জ, গ) এনভায়রনমেন্টাল এন্টারোপ্যাথি, আন্ত্রিক মাইক্রোবায়োটা ও শৈশবকালীন অপুষ্টি, এবং ঘ) অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও আন্ত্রিক সংক্রমণের চিকিৎসার ওপর এর প্রভাব।

১৯৮২ সালে আইসিডিডিআরবি প্রথমবারের মতো ঢাকায় ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক সম্মেলনের অয়োজন করেছিল। এরপর থেকে নবীন গবেষক ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়, ধ্যান-ধারণার আদান প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে আসছে অ্যাসকড।  

১৯৮২ সালে সম্মেলনের তাৎপর্যের কথা বিবেচনা করে এশিয়াজুড়ে এর ব্যাপ্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী ১৯৮৩ সালে ভারতীয় গবেষকরা এবং কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড অ্যান্টারিক ডিজিজ এই উদ্যোগে যোগ দেয়। বিগত ১৪টি সম্মেলন এশীয় আটটি দেশে, বাংলাদেশ (৩ বার), ভারত (৩ বার), থাইল্যান্ড (২ বার), নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া (২ বার) এবং ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আইসিডিডিআরবির অ্যান্টারিক অ্যান্ড রেসপিরেটরি ইনফেকশন্স ইউনিটের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও অ্যাসকড-এর সভাপতি ড. ফিরদৌসী কাদরী মনে করেন যে, সম্মেলনটি অংশগ্রহণকারীদের গবেষণার ক্ষেত্রে অপরিসীম সুযোগ বয়ে আনবে।  

তিনি বলেন, সতের বছর পর এই সম্মেলনটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি আন্ত্রিক রোগ ও পুষ্টি বিষয়ক গবেষকদের জ্ঞান বিনিময়, ধ্যান-ধারণার আদান প্রদান এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রতিক কাজ সম্পর্কে জানার বিরল সুযোগ সৃষ্টি করবে। আমি বিশ্বাস করি বৈজ্ঞানিক সাধনা জোরদার করতে এই সম্মেলন তাদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করবে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধির পাশাপাশি স্পনসর করা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধি, চিকিৎসক, আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া রোগে আগ্রহী চিকিৎসক-শিক্ষার্থীরা এই প্লাটফর্ম থেকে বিশ্বব্যাপী জ্ঞান আহরণ এবং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ অর্জন করতে পারবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এমএএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।