ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে চালু হচ্ছে জরুরি বিভাগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে চালু হচ্ছে জরুরি বিভাগ সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিএসএমএমইউ’র ডা. মিল্টন হলে ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হবে।


 
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, এ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দাবি অনেকদিনের। ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব মেশিন কেনা হয়ে গেছে। আমরা শুধু আটকে আছি দু’টো কারণে। প্রথমত, আমাদের নার্স সংকট রয়েছে। সরকার যে নতুন ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে, সেখানে আমাদের হাসপাতালে কর্মরত প্রায় ৪৫০ জন নার্স চলে গেছেন। তবে আমাদের ৩৪৭ জন নার্স নিয়োগ দিতে আর মাত্র দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। দ্বিতীয়ত, হাসপাতালের মূল গেট মেট্রোরেলের কার্যক্রমের জন্য আটকে আছে। এটাও ঈদের আগেই শেষ হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
 
এছাড়া বিএসএমএমইউতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট (মৃত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন) প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করা হবে জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, খুব শিগগির বিএসএমএমইউতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রক্রিয়া চালু হবে। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বেশি গবেষণাধর্মী ও সেবামুখী করতে ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিস ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের নিচতলায় অর্থ, হিসাব ও অডিট দফতরের অটোমেশন (ডিজিটালাইজেশন) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক বলেন, রোগীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভোগান্তি কমাতে ওয়ান সেন্টার সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া শুরু হবে রেডিওলজি বিভাগ থেকে। এ প্রক্রিয়ায় মেডিকেল টেস্ট করাতে দুই লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এক লাইনেই টাকা জমা দিয়ে টেস্টের স্লিপ নিতে পারবে। এছাড়া রিপোর্ট সংগ্রহের স্থান একই স্থানে থাকবে না, আলাদা স্থানে থাকবে। যেনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। ঈদের পরই এ সেবা শুরু হবে বলেও জানান হাসপাতাল পরিচালক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম,  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গঠিত প্রচার উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম, সফলতা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন।

এছাড়া তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছরে পদাপর্ণে আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারের অধিক রোগীকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সাধারণ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি।

এদিকে, মঙ্গলবার ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উলপক্ষে গৃহীত কর্মসূচিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়ানো, র‍্যালি, বৈজ্ঞানিক অধিবেশন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।