ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে নিউরোস্পাইন সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
বিএসএমএমইউতে নিউরোস্পাইন সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা

ঢাকা: দেশে মেরুদণ্ড সংক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সচেতনতা ও চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শুরু হয়েছে নিউরোস্পাইন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ’র ডি ব্লকের ১১তলায় আইএনএম অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা ও সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিউরোস্পাইন সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত অনেক রোগী প্যারালাইজড হয়ে যান। অনেক রোগী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। নিউরোস্পাইন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দক্ষতা যেমন বৃদ্ধি করবে, তেমনি এ কর্মশালা এ ধরনের রোগীদের কল্যাণ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিউরোস্পাইনের নানা জটিলতা ও সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সেবার পরিধি আরও বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোস্পাইন উইং চালুসহ প্রয়োজনীয় পদসমূহ সৃষ্টি করা হয়েছে।

নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিএসএমএমইউ’র নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম মোশারেফ হোসেন, ভারতের অধ্যাপক পি. শরৎ চন্দ্র, যুক্তরাজ্যের ক্রিস্টোফার জন জারবার, নিউরোস্পাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সহ-সভাপতি ডা. আসিত চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দেশে মেরুদণ্ড সংক্রান্ত রোগী বেড়েই চলেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় দেড়শত জন নিউরোসার্জন মস্তিষ্কের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের রোগীদের সার্জিক্যাল চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নিউরোস্পাইন সোসাইটি দেশের নিউরোস্পাইন সার্জনদের সার্জারি দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতার আজকের এ জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাবেরিক ওয়ার্কশপ।
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা আসার পরপরই এদেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্পাইনাল নিউরোসার্জারি ইউনিট চালু করেন। আরও আশার কথা হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সম্প্রতি নিউরোসার্জারি বিভাগে স্পাইনাল নিউরোসার্জনের পদ সৃষ্টি করেছেন। বিএসএমএমইউ-এর গণ্ডি পেরিয়ে দেশের সব মেডিকেল কলেজে স্পাইনাল নিউরোসার্জনের পদ সৃষ্টি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad