ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ডিএনসিসির ৫ লাখের অধিক শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
ডিএনসিসির ৫ লাখের অধিক শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সভায় ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফাসহ অন্যরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সারাদেশের মতো আগামী ১৯ জানুয়ারি (শনিবার) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শনিবার সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) অনুষ্ঠিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।

কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএনসিসির সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান,সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আলম, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মামুন প্রমুখ।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সি ৮২ হাজার ১৫টি শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। মোট ১৪৯৯টি কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

এর আগে গত জুলাই মাসে প্রথম রাউন্ডে একই লক্ষ্যমাত্রায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। এছাড়া ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।

কার্যক্রমে মোট স্বাস্থ্যকর্মী-স্বেচ্ছাসেবী ২৯৯৮ জন, সেখানে প্রথম সারির সুপারভাইজার ১৮৩ জন আর তদারককারী থাকবেন ৬জন। এছাড়া দ্বিতীয় সারির ১০৩ জন সুপারভাইজার এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

সভায় জানানো হয়, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দু’বার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।