ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান আলোচনা সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, প্রয়োজনীয় পুষ্টি পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাবার পানির নিশ্চয়তা, অন্যান্য সামাজিক সেবা নিশ্চিত করা ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একত্রিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আলোচনা সভা করেছে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (পিএইচএফবিডি)।

'ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ' ডে উপলক্ষে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পিএইচএফবিডি’র ভাইস চেয়ারপারসন ডা আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শারমিন ইয়াসমিন।

সঞ্চালনা করেন পিএইচএফবিডি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর এম মোজাহেরুল হক।  

তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। তাই অসংক্রামক ব্যাধিগুলো প্রতিরোধ করে সঠিক ও সুস্থ জীবনযাপন বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ কাজে সরকারকেও পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষানবিশদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও রোগ প্রতিরোধমূলক বিষয় বস্তুর ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। শিক্ষাদান পদ্ধতি কমিউনিটিভিত্তিক এবং সমন্বিত করতে হবে। আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বিকল্প স্বাস্থ্য সেবা আমাদের মূল ধারার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মূল্যায়নে আনতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক, টেকনোলজিস্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটালে ২০৩২ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন আমাদের বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব কিছু নয়।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এখনি সময় সম্মিলিত পদক্ষেপের। তাহলেই ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ বা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি শক্তিশালী উপাদান বলে উল্লেখ করেছে। এটির বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবকে কমিয়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় মুক্ত ধর্ম, বর্ণ, আয়, লিঙ্গ, বয়সভেদে সবার স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। এসময় সবাই স্বাস্থ্য অধিকার ও সুরক্ষার জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রফেসর ডা. মো. আবু সাঈদ, প্রফেসর ডা. দীপক লালমনি দাস, ডা. এম ইসলাম বুলবুল ও পিএইচএফবিডি'র নির্বাহী পরিচালক ডা. সমীর কুমার সাহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।