ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সিঙ্গাপুরের মানের চিকিৎসা হায়দ্রাবাদ অ্যাপোলোতেই

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
সিঙ্গাপুরের মানের চিকিৎসা হায়দ্রাবাদ অ্যাপোলোতেই নিজের চিকিৎসার কথা বলছেন কৃষিবিদ শরিফুল/ছবি: বাংলানিউজ

হায়দ্রাবাদ থেকে ফিরে: হাসপাতাল হিসেবে এশিয়ার প্রথম হেলথ সিটি হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হেলথ সিটি। উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া এ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ভারত সফরত বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধিদল। অ্যালোপোর এ শাখায় এমন কিছু সেবা চালু আছে যা অন্য শাখায় নেই।

কী আছে, কী নেই- সে আলোচনা বিস্তর। ই-আইসিইউ সুবিধার এ হাসপাতালে ঢুকতেই অভ্যর্থনা জানান সেখানকার ডাক্তার-কর্মকর্তারা।

দলে কয়েকজন বাঙালি ডাক্তারও ছিলেন। তারা ঘুরিয়ে দেখান পুরো হাসপাতাল।  

এ পর্যায়ে সেখানে দেখা মেলে এক বাংলাদেশি রোগীর। বেশভূষা-কথাবার্তায় বাংলাদেশি বুঝে কথা হয় তার সঙ্গে। আসলেই হাসপাতালটি কেমন তার একটি ধারণা শুরুতেই পাওয়া গেলো জটিল চোখের ক্যানসারে আক্রান্ত ওই রোগীর সঙ্গে কথা বলে।

ক্যারোটিক গ্লান্ডের টিউমার থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের চূড়ান্ত চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। এক্সপ্লোর বিজনেস লিমিটেডের পরিচালক এই রোগীর নাম মো. শরিফুল ইসলাম। পেশায় কৃষিবিদ।  

প্রথমে বাংলাদেশে অপারেশন করান তিনি। বলা হয় রেডিয়েশন নিতে। তখন চলে যান সিঙ্গাপুর। সেখানে পেট-সিটি করে ক্যারোটিক গ্লান্ডে কিছু টিউমার ধরা পড়ে। এটার অপারেশন করান সিঙ্গাপুরে। তখন ভাবেন দেশে এসে রেডিয়েশন দেবেন।

হায়দ্রাবাদ অ্যাপোলো হাসপাতালকিন্তু স্পেশালি রেকলিমাল গ্লান্ডের, চোখের কেসটা বাংলাদেশে সাধারণত কম। রোগীও কম। বাংলাদেশের ডাক্তারদের কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। তাই সাহস করেননি।

তখন তার ভাতিজা হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে যোগাযোগ করলে তারা জানায় তাদের অভিজ্ঞতা আছে। তারা পারবে। তখন তিনি ওখানে চিকিৎসা নিতে যান।

সিঙ্গাপুর, ভারত ও বাংলাদেশ- তিন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার রকমফের জানতে চাইলে মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, তিন দেশের মধ্যে তুলনা করলে সিঙ্গাপুর তো ভালোই। আর বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে এটা নিঃসন্দেহে ভালো। রেকলিমাল গ্লান্ড, চোখের রেডিয়েশন দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের ডাক্তারদের নেই। ডাক্তার বলেছেন আপনার বিশ্বাস থাকলে করাতে পারেন। তখন আর সাহস করিনি।

খরচের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ এখানে বেশি নয়। ঢাকায় যেটা সাড়ে তিন লাখ চেয়েছিল, এখানে সেটা চার লাখ টাকা চেয়েছে।

এখানে চিকিৎসায় দীর্ঘসূত্রিতা নেই বলেও মনে করেন তিনি। ৩৩টি রেডিয়েশন আর ৬টি কেমো নিতে হবে। যেটা নিয়মিত প্রক্রিয়া।

শরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত আমাদের সঙ্গে কো-অপারেশন করছে। টাইম টু টাইম ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের কোনো হেজিটেশন হচ্ছে না। ডাক্তারও নিজে আমাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এখানকার সব ডাক্তার-নার্স খুব কো-অপারেটিভ। আপনার মনেই হবে না যে আপনি রোগী আর তারা ডাক্তার। যদি আসতে দেরি হয় তারা নিজ থেকে ফোন দিয়ে বলে যে কেন দেরি হচ্ছে।

সঙ্গে থাকা তার স্বজন ফারজানা মতিন চৌধুরী বলেন, এখানে থাকা-খাওয়ারও কোনো সমস্যা নেই। খাবারে একটু ঝাল বেশি। তবে চাইলে নিজেরা রান্না করে খাওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও রয়েছে। আর হাসপাতালের সবাই খুব হেল্পফুল। এখানে সিঙ্গাপুরের মতো চিকিৎসা নিতে পেরে আমরা খুশি।  

হায়দ্রাবাদ অ্যাপোলো হাসপাতালে অন্য রোগের পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসা খুব উন্নতমানের। বাংলাদেশের একটি হাসপাতালের সঙ্গে তারা ইনফরমেশন সেন্টার খোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন থাকছে পরের পর্বে।

**ঐশ্বরিয়া-শাহরুখ-উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে লাঞ্চ!
**সব দল অংশ না নিলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে: ওআরএফ
** ‘বাপু’কে জানার অত্যাধুনিক শিক্ষালয়  ​
** আগ্রায় পর্যটক টানতে এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় কবে?​
** নির্বাচনে জনগণের সিদ্ধান্তকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত
** ‘তিস্তা ইস্যুর কী হবে সেটা মমতা দি জানেন’​
 ** ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল​
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।