ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

জনগণকে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
জনগণকে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়

ঢাকা: সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি ৩২ ধরনের ওষুধও পাচ্ছেন। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে সফররত কঙ্গোর জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিলুঙ্গা কালেঙ্গার কাছে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।


 
মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে বলেন, বড় বড় শহরগুলোতে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
 
তিনি আরও বলেন, গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আজ বিশ্বে রোল মডেল। প্রয়োজনে রাজধানীর চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন।
 
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সে দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রশংসা করেন কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিশ্ব ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মধ্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের সফল পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয় প্রতিনিধি দল। এসময় বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের বস্তিগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন আরও তৎপর হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
  
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শহরের বস্তিগুলোর স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ মূল ভূমিকা রাখে। এই ব্যবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় কিনা সরকার তা বিবেচনা করছে।
 
বৈঠকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের বিশেষ উপদেষ্টা জোনাথান সিম্বাবাকাই, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোওয়ারসহ বিশ্ব ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।