ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

‘বসুন্ধরার জন্যি চোখে দেহনের আশা জাগছে’

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৮
‘বসুন্ধরার জন্যি চোখে দেহনের আশা জাগছে’ বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করাতে এসেছেন চোখের রোগীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘গত দুই বছর ধইরা চোখে ভালো দেহি না। টেকা-পয়সা তেমন নাই বইলা ঠিক মতো চিকিৎসা করাইতে পারতাম না। তবে অহন আশা জাগছে। কারণ বসুন্ধরা আমরার পাশে দাঁড়াইছে! বসুন্ধরার জন্যি চোখে ভালো দেহনের আশা জাগছে।’

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য এসে এভাবেই আবেগী অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী হামিদা বেগম।

গত ৩০ জানুয়ারি বাঞ্ছারামপুরের সোবাহানিয়া ইসলামিক ফাজিল মাদরাসায় বসুন্ধরা গ্রুপ, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ক্যাম্পে ১২০০ মানুষকে চোখের চিকিৎসা দেওয়া হয়।


 
ওই ক্যাম্পে ১৫০ জন রোগীর চোখে ছানি ও নেত্রনালীর সমস্যা চিহ্নিত হয়। সেই রোগীদের চোখের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের ঘোষণা দেয় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ডবসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে এক নারীর চোখের অস্ত্রোপচার চলছে।                                          ছবি: শাকিল আহমেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ওই ১৫০ জনের মধ্যেই প্রথম ২৬ জনের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে বুধবার (৭ মার্চ)। তাদেরই একজন হিসেবে বসুন্ধরা আই হসপিটালে এসেছেন হামিদা।
 
অস্ত্রোপচারের জন্য এসেছেন বাঞ্ছারামপুরের দুর্গারামপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী লহিসা খাতুনও। তার নেত্রনালীর অস্ত্রোপচার হবে। লাহিসা বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিন বছর ধইরা চোখে দেখতে পাই না। এহন মনে আশা জাগছে চোহে এবার হয়তো দেখতে পারমু। টেহা পয়সা নাই আমার, এতো বড় অপারেশন আমার করানোর ক্ষমতা নেই। বসুন্ধরা সাহায্যের কারণে আমরা চোখের চিকিৎসা হইতাছে। ’
 
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরইমধ্যে অনেক রোগীর অস্ত্রোপচার শুরু হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচার, ওষুধসহ রোগীদের যাবতীয় খরচাপাতিও বসুন্ধরা গ্রুপ বহন করছে। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে এক নারীর চোখের অস্ত্রোপচার চলছে।  ছবি: শাকিল আহমেদঅস্ত্রোপচারের জন্য আসা প্রথম পর্বের ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ। এদের মধ্যে ২৪ জনের চোখের ছানির ও ২ জনের নেত্রনালীর অস্ত্রোপচার হবে। অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে এই রোগীদের অস্ত্রোপচার হবে। তার সহযোগী হিসেব কাজ করবেন ডা. মুজিবুর রহমান ও ডা. রুবিনা আক্তার।
 
২৬ রোগীর অস্ত্রোপচার সম্পর্কে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আহসান হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, আই ক্যাম্পে রিকমেন্ডেশন দেওয়া ১৫০ জন রোগীর মধ্যে প্রথম ২৬ জনের অস্ত্রোপচার আজ থেকে আমরা পর্যায়ক্রমে শুরু করে দিয়েছি। বাকি ১২৪ জনের অস্ত্রোপচারও ধাপে ধাপে শেষ করবো আমরা।
 
তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার ও ওষুধের বিষয়টি আমরা দেখছি। তাদের আনা-নেওয়াও সম্পূর্ণভাবে বসুন্ধরা গ্রুপ বহন করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এমএসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।