ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

অ্যাংজাইটি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানালেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
অ্যাংজাইটি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানালেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট

ঢাকা: টিভি সিরিয়াল বা মুভিতে যখন প্রিয় সেলিব্রেটিদের দেখি, তখন ভাবি- তাদের জীবনটাই ভালো। সহজ ও সুন্দর।

খুব কম সময়ই বুঝি, তারাও সাধারণের মতো স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও অ্যাংজাইটির মধ্য দিয়ে যান।
এলি ইউকে ম্যাগাজিনের লেটেস্ট ইস্যু ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টকে নিয়ে। টুয়াইলেটখ্যাত এ অভিনেত্রী খোলাখুলি বলেছেন তার কঠিন অ্যাংজাইটি ও প্যানিক অ্যাটাকের দিনগুলির কথা। যদিও এ বিষয়ে এখানেই তিনি প্রথম বক্তব্য রাখেননি।
গতবছর ‘মেরি ক্লেয়ার’ নারী বিষয়ক ম্যাগাজিনেও ব্যক্তিগত ক্ষতিকর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন স্টুয়ার্ট। স্টুয়ার্ট জানান, ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমি প্রচণ্ড অবসাদগ্রস্ত, ক্রমাগত উদ্বিগ্ন ছিলাম।
স্টুয়ার্ট তার অ্যাংজাইটি বিষয়ক বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ভক্তদের জানিয়েছেন কিছু মূল্যবান তথ্য -

নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা থেকে হতে পারে অ্যাংজাইটি
উদ্বিগ্নতার বিভিন্ন সময় তুলে ধরে স্টুয়ার্ট বলেন, আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। যদি বুঝতে না পারতাম কীভাবে সবকিছু নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়তাম। দরজা বন্ধ করে বসে থাকতাম ও বাধাপ্রাপ্ত হতাম। যা অনেক বেশি ক্ষতিকারক ছিলো। আমার প্যানিক অ্যাটাক হতো, পেটে ব্যথা হতো। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। এমন পরিস্থিতিতে কী হতে যাচ্ছে তা বুঝতে পারতাম না। মনে হতো অসুস্থ হয়ে পড়ছি।  

উন্মুক্ততা ও ন্যায়পরায়ণতা আপনাকে সুখী করতে পারে
অতীতে স্টুয়ার্ট নিজের ব্যক্তিগত জীবন গুটিয়ে রাখতেন। এরপর তার বান্ধবী এলিসিয়া কার্গলের প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার পর থেকে তিনি বেশ ভালোবোধ করছেন। স্টুয়ার্ট জানান, আমি এমনই। এ গোপনীয়তা প্রকাশ ইঙ্গিত দেয়, আমি এটি নিয়ে লজ্জিত নই বা অবনত নই। এই পরিবর্তন আমার জীবনকে উন্মুক্ত করেছে। আমি অনেক বেশি সুখী এখন।

কাজের মধ্যে ডুবে থাকা সুখদায়ক
স্টুয়ার্ট দেখেছেন, কাজের মধ্যে ডুবে থাকলে অ্যাংজাইটির বোধ অসাড় হয়ে যায়। তিনি জানান, যখন আমি কাজ করি, তখন নিজের শক্তিশালী পরিচয় বহন করি। যেদিন আমি খারাপ দিন পার করি- হতে পারে তা ব্যক্তিগত, হরমোনাল বা যেকোনো বিষয়ে অবসন্নবোধ। খুব স্বস্তি পাই যদি সেদিন কোনো কাজে আমাকে বের হতে হয়। তা হতে পারে যেকোনো কাজ।

খারাপ সময় ধ্রুব নয়
খারাপ সময় আজীবন থাকবে কি? আমি অবশ্যই আশা করি, এ মুহূর্তে যা যা ঘটছে, সবই কাজে দেবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে- জীবন সুন্দর এবং যা কিছুই হোক আমি ঠিক থাকবো। জানান স্টুয়ার্ট।
তিনি বলেন, সময় যখন মেঘাচ্ছন্ন থাকে, আমি সূর্যালোকে চিন্তা করি- জীবন কী করে আরও ভালো হবে।
সময় সব ঠিক করে দেয়
সময় সবচেয়ে বড় দ্রাবক। স্টুয়ার্ট বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাংজাইটির ধকল সামলে নিয়েছেন। মেরি ক্লেয়ারে স্টুয়ার্ট জানান, আমি মস্তিষ্কে ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে চলা রেলগাড়িকে চালনা করতে শিখেছি। দাঁড় করিয়েছি, সুস্থ মানসিক সীমানা এবং যা জানি না তা জানতে চেষ্টা করছি।
সবশেষে স্টুয়ার্ট বলেন, সর্বপরি আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
এসএমএন

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad