ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

মনোকথা

বেশি করে মাছ খান, বিষণ্নতা দূরে রাখুন

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
বেশি করে মাছ খান, বিষণ্নতা দূরে রাখুন

‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কথাটা আমরা সবাই জানি। সেটা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যও যে কতোটা জরুরি তা জানা গেল নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।

সর্ব সাম্প্রতিক এ গবেষণা জরিপে বলা হচ্ছে, যেসব মানুষ বেশি পরিমাণে মাছ খান তারা তুলনামূলকভাবে কম বিষণ্নতায় ভোগেন। Journal of Epidemiology & Community Health-এ প্রকাশিত ২৬টি গবেষণা জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে একথা।  

জরিপে বলা হয়, যেসব নারী-পুরুষ মাছ একেবারেই খান না বা খুমই কম খান তাদের তুলনায় যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কম। অর্থাৎ মাছ-খাওয়া পুরুষদের বেলায় ঝুঁকিটা ২০ শতাংশ কম, আর নারীদের বেলায় ঝুঁকিটা ১৬ শতাংশ কম।

এসব গবেষণা জরিপ চালানো হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ১ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে। এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলকে বেছে নেওয়া হয়েছিল জরিপের জন্য। তবে কী পরিমাণ মাছ জনপ্রতি খাওয়া উচিত সে সিদ্ধান্তে আসার জন্য আরও গবেষণা দরকার বলে জানিয়েছেন গবেষকদের একজন: “...further studies are required to define how much fish people should eat to reap the benefits.’’

মাছে কী আছে তাহলে, যার জন্যে এতো স্বাস্থ্য-সুফল? গবেষকরা বলছেন, মাছে আছে ওমেগা-থ্রি নামের এক ফ্যাটি এসিড। ওই এসিড মানুষের দেহের ক্ষতিকর ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা কমায়। আর প্রকারান্তরে তা বিষণ্নতা দূর করার কাজ করে।   
.
এদিকে মাছের দেশ নরওয়েতে ২২ হাজার নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত একটি জরিপে বলা হয়েছে, যারা মাছ খান না তাদের তুলনায় মাছপ্রেমীদের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হবার আলামত প্রায় ৩০ শতাংশ কম। সাধারণত খাদ্যে তেল দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরেল বাড়ালেও মাছের তেলের কোলেস্টেরল দেহের জন্য বরং উপকারী। তাহলে পাঠক, আপনি নিজেই ঠিক করুন, মাছ বেশি খাবেন নাকি একে অবহেলা করবেন? আপনার মেন্যুতে মাংসের বদলে রাখুন মাছ আর থাকুন হাসিখুশি। দূর হোক বিষণ্নতা!

বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
জেএম  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।