ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

নারীদের বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দেয় ক্ষমাশীলতা

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
নারীদের বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দেয় ক্ষমাশীলতা

ঢাকা: ছোট ছোট বিষয়ে আমরা সব সময়ই অন্যকে ক্ষমা করে থাকি। কিন্তু বন্ধু বা সঙ্গী যখন আমাদের বিশ্বাস ভেঙে ফেলে, তখন?

নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষমাশীলতা আমাদের বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দেয়।

বিশেষত নারীদের।

সম্প্রতি একটি জার্নালে দ্য ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি তাদের করা এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

গবেষণা পরবর্তী সময় নির্দিষ্টভাবে ক্ষমাশীলতা কীভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে এবং বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দেয়, তা নিশ্চিত হতে দ্বিতীয়বারের মতো গবেষণা চালানো হয়।

এ দফায় ধর্ম, বয়স, স্বাস্থ্যগত তথ্য বিবেচনা করে ৬৭ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী ১ হাজার জনকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বিশেষত বেশি বয়সী নারী যারা ক্ষমাশীল, তারা অন্যদের চেয়ে বেশি লাভবান হন বলে দেখা যায়।

তবে পুরুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ‌উপযোগী নয়। তাদের ক্ষেত্রে অন্যের কাছে দায়ী হয়ে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তির কাছে একজন পুরুষ দোষী এবং ওই ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করছে না, এমন অবস্থা হলে পুরুষরা অতিমাত্রায় বিষণ্নতায় ভোগেন।

গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব উন্নয়ন ও পরিবার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টিন। তিনি বলেন, যদিও এটা খুবই ছোট গবেষণা, তারপরও বিষণ্নতার চিকিৎসায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অতীতেও দেখা গেছে, ক্ষমা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই ভালো। ২০১৪ সালের আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, যে ব্যক্তি ক্ষমা পান তিনি পরবর্তীতে ভালো কাজের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

অনেক সময় চিকিৎসক যখন নিজেকে ক্ষমা করতে বলেন, এর অর্থ কেবল ক্ষমা করাই না, বিষণ্নতা দূর করার একটি মাধ্যমও বটে। আবার এটি যে সবসময় বিষণ্নতা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে ব্যাপারটা তেমনও নয়, যোগ করেন ক্রিস্টিন।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।

আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও। সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।
আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।