ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

শিশুরা কতক্ষণ নির্দোষ?

মনোকথা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫
শিশুরা কতক্ষণ নির্দোষ? ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, ১২ থেকে ২৪ মাসের মধ্যেই শিশুদের মূল্যবোধ তৈরি হয়ে যায়। ওই বয়সেই তাদের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এসব মৌলিক বোধ সৃষ্টি হয়।

আর বাবা-মায়ের কাছে থেকেই শিশুর ভেতরে আসে এই মূল্যবোধ।

গবেষকরা মোট ৭৩ জন শিশুর ওপর দফায় দফায় ধারাবাহিকভাবে এ গবেষণা চালান। প্রথম দফায় শিশুদের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে সামাজিক এবং পরের দফায় সামাজিক মূল্যবোধ বহির্ভূত চরিত্র দেখানো হয়।

এসময় তাদের চোখের নড়াচড়া ও মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করা হয়। যখন সামাজিক মূল্যবোধ বহির্ভ‍ূত চরিত্র দেখানো হয়, তখন তাদের অসন্তুষ্টি বোঝা যায়। ইলেক্ট্রো এনসেফেলোগ্রাফিতে (ইইজি) তাদের মস্তিষ্কে ‘ভালো’ এবং ‘খারাপ’ বিষয়টা পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। অধিকাংশ শিশুদের ভেতরে এই বোধ দেখা যায়।

চলচ্চিত্রের ভালো ও খারাপ চরিত্রগুলোকে খেলনা হিসেবে শিশুদের খেলতে দেওয়া হয়। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন, শেষ পর্যন্ত শিশুরা ভালো চরিত্রগুলোকেই গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দফায় পরিষ্কার হয়ে যায়, তাদের ভেতরে মৌলিক মূল্যবোধ জন্ম নিয়েছে। আরও দেখা যায়, ভালো এবং খারাপ চরিত্রের মধ্যে যখন ভালো চরিত্র দেখানো হয় তখন শিশুর মস্তিষ্কে দীর্ঘ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। তাদের চোখ পর্যবেক্ষণ করে এটাও দেখা যায়, খারাপ চরিত্রের তুলনায় তারা ভালো চরিত্রের দিকে বেশি মনোযোগী ছিলো।

শুরুতে যে ক’জন খারাপ চরিত্রের খেলনার প্রতি আকৃষ্ট হয়, চলচ্চিত্র দেখার সময় ইইজি পর্যবেক্ষণে তাদের মস্তিষ্কে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। শুরু থেকেই তারা খারাপ চরিত্রের প্রতি আকৃষ্ট। পরবর্তীতে গবেষকরা বলেন, এর পেছনে তাদের মূল্যবোধ দায়ী ছিলো।
এ গবেষণার পরে দেখা যাচ্ছে, অতীতের ধারণার চেয়ে অনেক আগে মানুষের মূল্যবোধ গঠন হয়ে যায়। গবেষকদের পরামর্শ, শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাই অভিভাবকদের আরও আগে সচেতন হওয়া দরকার।

প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।
আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।
আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।