ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, জানুন-সতর্ক হোন

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, জানুন-সতর্ক হোন

ঢাকা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (পিসিওএস) সূত্রপাত নারীদের ওভারিতে হওয়া ছোট সিস্টের মাধ্যমে। তাই এর নাম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।

প্রাথমিক অবস্থায় এ সিস্টের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব থাকে না। তবে এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে পিরিয়ড ও গর্ভধারণে সমস্যা করে।

প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করালে পিসিওএস এর উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ ও দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সমাধান সম্ভব। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তীতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

Health
পিসিওএস কেন হয়?
বেশিরভাগ সময় পিরিয়ডের দুই সপ্তাহ পর ওভিউলেশন (ডিম্বাণু নির্গমণ) হয়। পিসিওএস এর ক্ষেত্রে সঠিক সময় ডিম্বাণু নির্গমণ হয় না। সেগুলো ওভারিতে জমতে থাকে। যা পরবর্তীতে ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে। সাধারণত ওভারিতে স্বল্প মাত্রায় অ্যান্ড্রোজেন হরমোন তৈরি হয়। পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের ওভারিতে সাধারণের তুলনায় খানিক বেশি মাত্রায় এ হরমোন নিঃসৃত হয়। আক্রান্ত নারীদের ওজন বেড়ে যায়, অনিয়মিত পিরিয়ড, মুখে ব্রণ বা দাগ দেখা দেয়, মুখমণ্ডল ও শরীরে বাড়তি লোম, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
Health
আসন্ন ঝুঁকি
পিসিওএস এ আক্রান্ত হলে শরীর তার প্রয়োজনমতো ইনসুলিন হরমোন ব্যবহার করতে পারে না। ইনসুলিনের সঠিক ব্যবহার না হলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

সাম্ভাব্য কারণ
পিসিওএস এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও এটি সাধারণত বংশগত। অর্থাৎ, পরিবারে অন্য নারীদের যদি এ রোগ থাকে বা অনিয়মিত পিরিয়ড ও ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এটি হতে পারে।

উপসর্গ
•    ত্বকে ব্রণ।
•    বাড়তি ওজন ও ওজন হ্রাসে সমস্যা। তলপেট ও কোমরে চর্বি জমা হওয়া।
•     মুখে, ঠোঁটের ওপর, বুক, পিঠ ও তলপেটে পুরু ও ঘন লোম দেখা দেয়।
•    চুল পড়া।
•    অনিয়মিত পিরিয়ড। টানা কয়েক মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকা। অনেক সময় পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের বছরে নয় বারেরও কম পিরিয়ড হতে পারে।
•    গর্ভধারণে সমস্যা।
•    মানসিক অবসাদ।

উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সরণাপন্ন হওয়া উচিত।

সাধারণতভাবে নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থকর খাবার, ওজন নিয়ন্ত্রণ পিসিওএসের নিরাময়ক বলে মনে করা হয়।

ওজন ঠিক রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা করুন। উচ্চমানের স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, পনির ও ভাজা খাবার কমিয়ে প্রচুর শাক-সবজি, ফল, বাদাম, মটরশুটি ও শস্যদানা খান।

কারণ সঠিক ওজন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে ও মাসিক ঋতুচক্র সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দেখা যায়, যেসব নারী ধূমপানে অভ্যস্ত তাদের অ্যানড্রোজেন হরমোন অনেক বেশি মাত্রায় নিঃসৃত হয়, যা কিনা পিসিওএস এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ।

সর্বোপরি লক্ষণ উপলব্ধি করা মাত্রই অভিজ্ঞ ডাক্তারের সেবা নিন ও  পরামর্শ মেনে চলুন।
ভালো থাকুন।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।