ঢাকা: কোনো অস্বাভাবিক জীব আপনাকে তাড়া করছে, দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না- এমন স্বপ্ন দেখে মাঝ রাতে আপনার ঘুম ভেঙে গেল।
এটা খুবই সাধারণ একটা ঘটনা।
এবার ইউএস স্লিপ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, দুঃস্বপ্ন আমাদের শরীরের জন্য ভালো। নীচের ভিডিওটি দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দুঃস্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের সঙ্গে চেতন মনের সংযোগ ঘটাতে সাহায্য করে। এতে আমাদের মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সমস্যাগুলো দুঃস্বপ্ন রূপে প্রকাশ পায়।
আমেরিকান একাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের একটি জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৫০ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত একবার দুঃস্বপ্ন দেখেন। অন্যদিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিশু জানায়, তারা কমপক্ষে একটা দুঃস্বপ্নের স্মৃতির কথা বলতে পারে। বিশেষত যে সময়গুলো তাদের স্ট্রেস ছিল।
এর আগে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দুঃস্বপ্ন মূলত মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার একটি অংশ। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ “আরইএম স্লিপ” (র্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপ) এর কাজ। ঘুমের এই স্তরে অধিকাংশ স্বপ্ন দেখে মানুষ।
দুঃস্বপ্নের আরেকটি ভালো দিক হলো, এটি ভয় কাটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে আমাদের যত নেতিবাচক আবেগ কাজ করে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দুঃস্বপ্ন। উদাহারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন, দৈনন্দিন জীবনে মানুষে যে বিষয় নিয়ে যুদ্ধ করে, ঘুমানোর পরে সেটাই স্বপ্নের বিষয় হয়ে যায়।
প্রিয় পাঠক, ‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। আপনারা জানাতে পারেন বাংলানিউজের ‘মনোকথা’ পাতায় আপনি কি ধরনের প্রতিবেদন দেখতে চান। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।
আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।
সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।
আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ ও লেখা পাঠানোর জন্য আমাদের ইমেইল করুন- [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
এটি/এএ