ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

আমি গরিবের মন্ত্রী: নাসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
আমি গরিবের মন্ত্রী: নাসিম ছবি : জিএম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গরিবরা সঠিক চিকিৎসা পায় না। কারণ তাদের সামর্থ্য নেই।

কিন্তু বর্তমান সরকার গরিবের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাই আমি গরিবের মন্ত্রী-বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের যে ক্যাম্প চলছে তা স্থায়ী করা হবে।
 
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু) ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

৬শ’ দুস্থ রোগীর মাঝে বিনামূল্যে পা সংযোজন ক্যাম্প উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সমিতি।

ভারতের ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহয়তা সমিতি’র সহযোগিতায় ক্যাম্পটি চালু করা হয়েছে। গত ৭ মে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে যে সেবা চালু করা হচ্ছে তা স্থায়ী করা হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
তিনি হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতাল থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কিন্তু পঙ্গু হাসপাতালের এ কী অবস্থা? সামনে অবৈধ দোকান, ভেতরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এসব থাকলে চলবে না। হাসপাতাল থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি গরিবের মন্ত্রী। কেননা ধনীরা দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে। কিন্তু গরিবরা তা পারে না। নিম্ন মধ্যবিত্তরা পারে না। তাই বর্তমান সরকার গরিবদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছে।

গ্রামে এখন ডাক্তাররা থাকেন। নিজ এলাকায় তারা দুই বছর থাকবেন। অন্যদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও গরিবরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন বলেও জানান নাসিম।
 
তিনি বলেন, কৃত্রিম পা সংযোজনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করছে ভারতের জয়পুর ফুট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই উপকরণগুলো খুব কমদামের এবং মানসম্মত।
 
আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটি মহৎ উদ্যোগ। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সমিতি প্রথমবারের মতো ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সমিতির সহয়তায় যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা একটা নভেল জব (মহৎ কাজ)।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিদিনই খোঁজ নিয়ে দেখি, অনেক সড়ক দুর্ঘটনা হয়। ফলে এখানে রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি।

ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চট্রোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা করলে এই ক্যাম্পকে আমরা প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী রূপ দিতে চাই। এর আগে রানা প্লাজা ধসের সময় একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তা সফল হয়নি।
 
অর্থোপেডিক হাসপাতাল’র (পঙ্গু) পরিচালক ডা. ইকবাল কাভি’র সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সমিতির সদস্য এবং চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
ইইউডি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।