ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

সিলেট নগরীর লক্ষ্যমাত্রা ৬০ সহস্রাধিক শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
সিলেট নগরীর লক্ষ্যমাত্রা ৬০ সহস্রাধিক শিশু ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: সিলেট নগরীতে ৬০ সহস্রাধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শনিবার (২৫ এপ্রিল) শিশুদেরকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে।



এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের মতো সিলেট নগরীতেও এ কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুধাময় মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ওই দিন নগরীর ২১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে। ২১০টি কেন্দ্রের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাটেও অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

এদিন প্রত্যেক কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সিলেট নগরীতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫ শ’ ২০ জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ হাজার ৫শ’ ১২ জন, ৬ মাস-১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধি শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধি শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫শ’ ২৫ জন।
 
সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুধাময় মজুমদার বলেন, সিসিকের বিনোদিনী দাতব্য চিকিৎসালয়ে শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্থাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এ প্রক্রিয়া থেকে কোনো শিশু যাতে বাদ না পড়ে, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাবেন।

তিনি বলেন, দেশে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব রোধ করতেই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া রোগাক্রান্ত শিশুদের ‘সাপ্লিমেন্টারি’ হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেওয়া হবে। তবে, কোনো বাচ্চা অসুস্থ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ভালো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সিসিকের সচিব রেজা-ই আরফিন, ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিম্মি হোসেন, সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা গোপাল রঞ্জন দাস, আলতাব আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এনইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।