ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বেকারত্বের শঙ্কায় সাড়ে ১৩ হাজার হেলথ প্রোভাইডার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
বেকারত্বের শঙ্কায় সাড়ে ১৩ হাজার হেলথ প্রোভাইডার! ছবি : কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চাকরি জাতীয়করণ (স্থায়ী) করা না হলে আগামী দু’মাসের মধ্যে বেকার হয়ে যাবেন সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)।
 
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সিএইচসিপি’র চাকরি জাতীয়করণের (স্থায়ী) দাবি’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।


 
বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএইচসিপিএ) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে সারাদেশের সিএইচসিপিরা অংশ নেন।
 
মানববন্ধনে সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. সুমন মাতব্বর বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এক বছর আগে আমার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে।
 
তিনি বলেন, আমার চাকরির বেতনেই চলে পুরো পরিবার। আগামী ৩০ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আমি বেকার হলে আমার পরিবারকে পথে বসতে হবে।
 
সংগঠনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লুনা পারভীন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
 
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের সাফল্যে আমরাও অংশীদার। কিন্তু দু’মাস পর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
 
সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসাইন সরকার বলেন, গণমুখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের অধীনে দেশে সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপি নিয়োগ দেয় বর্তমান সরকার।
 
এরমধ্যে সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ৫৪ শতাংশ নারী। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসছেন সিএইচসিপিরা।
 
তিনি বলেন, দু’মাস পর এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। গত চার বছরে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছেন সিএইচসিপিরা।

কামাল হোসাইন সরকার বলেন, এদের মধ্যে অধিকাংশ সিএইচসিপি’র চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। চাকরি স্থায়ী না হলে প্রতিটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি বিঘ্নিত হবে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা।
 
গত চার বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বহুবার চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‍
 
কমিউনিটি ক্লিনিকের সুনাম ধরে রাখতে এবং সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপিকে বেকার হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি বিসিএইচসিপিএ সভাপতি।
 
অন্যথায় ৭ মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপরও যদি দাবি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
আরইউ/এসজেএ/এসএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।