ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কক্সবাজারে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪
কক্সবাজারে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

কক্সবাজার: কক্সবাজারে বাড়ছে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি। অসচেতনতাকেই এর একমাত্র কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে স্তন পরীক্ষা করিয়েছেন ১০০ জন, আগস্টে ১৪০ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫০ জন। তবে এদের কেউ নিজের ইচ্ছায় পরীক্ষা করাননি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে তাদের এই পরীক্ষা করাতে হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ডা. দীপক তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, কক্সবাজারে দিন দিন নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। যে সব নারীরা পরীক্ষা করাচ্ছেন তারা কেউই নিজের ইচ্ছায় পরীক্ষা করান না। যাদের মধ্যে ক্যন্সারের ঝুঁকি আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে কেবল তারাই পরীক্ষা করাচ্ছেন। অথচ ৩০ বছরের পর সব নারীদেরই এ পরীক্ষা করানো উচিত।

তিনি বাংলানিউজকে আরো জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসায় ক্যান্সার পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু অবধারিত।

বেসরকারি সেবা সংস্থা এফপিএবি-এর জেলা র্কমকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, ২০১২ সালে সিবিই পরীক্ষা করিয়েছিলেন ১৭২ জন নারী, ২০১৩ সালে ৩০০ জন এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা করিয়েছেন ২১৮ জন।

এদের মধ্যে ছয় জনের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছে। অসচেতনতার কারণেই এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলেই তিনি জানান।

তিনি বাংলানিউজকে আরো জানান, এখানকার নারীরা স্তন পরীক্ষা করাকে লজ্জা মনে করে এর থেকে দূরে থাকেন। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও লজ্জার কারণে পরীক্ষা করাতে আসেন না। এটি একটি রোগ। লজ্জার কারণে  রোগকে পুষে রাখার কোনো মানে হয়না। শুধু নারীরই নয় প্রত্যেক স্বামীরও দায়িত্ব তার স্ত্রীকে পরীক্ষাগুলো করানো।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো, টিস্যু ধ্বংস হয়ে যাওয়া ও বংশগত কারণে এ ক্যান্সার হতে পারে। মাত্র তিন বছর আগে স্তন ক্যন্সারের পরীক্ষাগুলো কক্সবাজার এসেছে। তেমন কোনো ভাল চিকিৎসা এখানে এখনো আসেনি। তাই জেলার নারী ও পুরুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। আর এদের সচেতন করতে খুব শিগগিরই পথ নাটিকা, উঠোন বৈঠক, প্রচার, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনামূলক প্রোগাম শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।