ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

জানান আপনার সমস্যা ও মতামত

টেনশান সবসময় ক্ষতিকর নয়

ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৪

Dear Sir,
I am 39 years old. From childhood I have been suffering from problems. I always remain in tension. Most of time I do not fell better. In my student life at the time of examination I remained in excessive tension. Generally in the time of exams students remain in tension. But my condition were severe. Not only on those time generally always I remain in tension. I want to lessen it but it does not quit me. I always want to take the challenging jobs. At the time of preparation I remain confidant. But at the time to facing it my condition becomes severe.

I have also sleeping problem. At the time of severe conditions I took treatments from renowned psychiatrists. When I took the medicine it's side-effects altered my appearance. Always I felt sleeping. So when I felt better after taking medicine 5 to 6 months continuously I left those. But I never cured. Is it my companion for whole life? Please suggest me.  

কোনো একটি কাজ করার আগে এক ধরনের অস্বস্তি বা টেনশন অনুভব হবে এটাই স্বাভাবিক। যদি কেউ কোনো ধরনের টেনশন অনুভব না করেন তবে, সে কাজ কতটুকু হবে বা সে কাজের প্রস্তুতি কতটুকু হবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।

সুতরাং টেনশন সবসময় ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী বা দরকারী।

বিষয়টি শুধু আপনার ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কথা হলো, টেনশন কতটুকু হবে? কতটুকু টেনশনকে আমরা স্বাভাবিক বলবো!

আপনি দু’বার উল্লেখ করেছেন টেনশন বিষয়টি সিভিয়ার আকার ধারণ করে, কিন্তু উল্লেখ করেননি আপনার কাজের ক্ষেত্রে তা কতটুকু সমস্যা সৃষ্টি করে।

টেনশন ক্ষতিকর কিনা সেটা নির্ভর করবে, একজন মানুষের কাজের ক্ষেত্রে টেনশন কতটুকু প্রভাব ফেলে তার ওপর। যদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে কেবল তখনই সেটা কমানো বা ঠিক করার প্রয়োজন হবে, অন্যথায় কোনোকিছু করার প্রয়োজন নেই।

মানুষের বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিত্ব থাকে। এনজাইটি প্রোন পার্সোনালিটি বলতে একটি বিষয় থাকে। যেখানে মানুষ অল্পতেই এনজাইটি অনুভব করে। সেক্ষেত্রেও যদি কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না করে, তবে সেসব নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

আপনি একটা কথা উল্লেখ করেছেন। যেকোনো কিছুর প্রিপারেশনের সময় আপনার কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু যখন সে কাজটি করতে গেলেন তখনই সমস্যা সিভিয়ার হয়। এটিও ‘সোসাল ফোবিয়া’র অন্তর্গত হতে পারে। ঘুমের সমস্যার কথা বলেছেন, কিন্তু কেমন সমস্যা বলেননি।

আপনি আগেও যেহেতু চিকিৎসা নিয়েছেন এবং চিকিৎসা চলার সময় ভালো ছিলেন সুতরাং এটা বলা যায় নিজে থেকে চিকিৎসা বন্ধ না করে সঠিক ভাবে চিকিৎসা সমাপ্ত করুন। আমি ওপরে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি সেসব সম্পর্কে আরো ভালো করে জেনে নেবেন। প্রয়োজনে ইন্টারনেট ঘেটে দেখতে পারেন।

বাংলায় ওপরের সব বিষয়েই মনোকথায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ হয়েছে, সেসবও পড়তে পারেন।

তবে এসব ক্ষেত্রে সব সময় চিকিৎসার দরকার নেই। কিন্তু কখন কতটুকু দরকার সেটা জেনে রাখাও জরুরি।

আপনি বিস্তারিত জানার জন্য মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ তে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।