ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মনোকথা

পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার!

ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৩
পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার!

Dear Sir,
My wife is suffering from this kind of complication. when she gets angry, she gets fully out of control. After just 3 months of my marriage, she got repeatedly ferocious and then eventually she filed a case against our family. But still after the case she did hell lot of effort to keep the marriage.

When she is in extreme anger, she doesn`t know whom she is talking and what she is doing. She abused my mother repeated time. I have no control over her at that time. She doesn`t hear any of my words. She is creating us a lot of suffering for her short temper. Her family doesn`t even want to communicate with her. Even doesn`t allow her to enter their house for her misbehavior with her mother etc.

What I can do to continue a peaceful life. Your suggestion is very much appreciated.
Thank you..

উত্তর: বোঝাই যাচ্ছে আপনার সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আপনার লেখা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তার পরিবারের সদস্যরাও আপনার স্ত্রীর এসব সমস্যা সম্পর্কে জানেন।



এটা যে এক ধরনের মানসিক সমস্যা সেটা আপনি যেমন বুঝেছেন, তার পরিবারের সদস্যদেরও তা জানার কথা। আপনি সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলেন, আগে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন কিনা তাও জেনে নিন। যদি করে থাকেন, তাহলে সেসব তথ্য নিয়েই আপনি সামনে এগুতে পারেন। তা না করে থাকলে, আপনাকেই শুরু করতে হবে।

যে সমস্যার কথা বলেছেন তাতে আগে থেকে অনুমান করে কিছু না বলাই ভালো, তবু বলছি। আপনার স্ত্রীর সমস্যাটি হতো পারে ‘পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার’ অথবা ‘সাইকোসিস’। এ দু’ক্ষেত্রেই আপনাদের একটু দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে চিকিৎসার দিকে এগুতে হবে।

যদি দূরে না থাকেন, ঢাকায় থাকেন। তবে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। ব্যক্তিগত ভাবেও যোগাযোগ করতে পারেন।

এ রোগের আরেকটি বড় সমস্যা হলো, রোগী নিজে কখনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। সেক্ষেত্রে দরকারে ভর্তিও করতে হতে পারে। ওষুধ এবং সাইকোথেরাপি দুই ধরনের চিকিৎসাই এক্ষেত্রে দরকার হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে আলাপ না করে ওষুধ সাজেশন না করাই ভালো।

আপনাকে বলছি, বিভ্রান্ত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ দ্রুত নেওয়ার চেষ্টা করুন। পরিবারের সবাইকে বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিয়ে চিকিৎসার আওতার আনার জন্য এবং রাখার জন্য বলবেন। মনে রাখবেন, একেক জন একেক কথা বললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এতো কথায় কান না দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ধন্যবাদ...

‘মনোকথা’ আপনাদের পাতা। মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের। আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।

আপনার সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই আপনার সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ জানাতে আমাদের ই মেইল করুন[email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৩
এসএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।