ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনে অগ্রগতি অনেক

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনে অগ্রগতি অনেক

ঢাকা: মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, এর স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ থেকে বিশেষ পুরস্কৃত হয়েছে ওয়াসা।



তিনি বলেন, ‘রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পানির চাহিদা পূরণে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে ক্রমেই ভূউপরিস্থ উৎসের দিকে অগ্রসর হওয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। ’
 
বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘সায়েদাবাদ ডব্লিউটিপি ফেজ-৩ ফিজিবিলিটি স্টাডি ওভারভিউ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়  (এলজিইআরডি অ্যান্ড সি) মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কে.এম. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

কর্মশালায় ফ্রান্সের ইজিআইএস ইএইউ-এর টিম লিডার মি. আ্যলবান ট্রুয়ে সায়েদাবাদ ফেজ-৩ ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি’র ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আইডব্লিউএম-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর. ড. এম. মনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসানও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।    
 
ইনু বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসাকে একটি পরিবেশ-বান্ধব ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি, চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদন এবং পরিচালন ব্যয় হ্রাসসহ বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জনকল্যাণের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঢাকাকে রক্ষা এবং ঢাকার জনগণকে নিরাপদ পানি প্রদানে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর সুফল এখন রাজধানীবাসী পাচ্ছেন। ’

মেঘনা নদী থেকে পানি এনে রাজধানীতে সরবরাহের এ স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকা ওয়াসা সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
 
ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা গতানুগতিক প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে গণমুখী, কল্যাণমুখী ও স্বাধীনতার মূল্যবোধমুখী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সেজন্য ওয়াসাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। ’
 
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ. খান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বর্তমান ওয়াসা প্রশাসনই প্রথমবারের মতো নগরীর পানির চাহিদার বিপরীতে উদ্ধৃত্ত পানি উৎপাদন ক্ষমতা অর্জন করেছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সিস্টেম লস হ্রাস, পরিচালন ব্যয় হ্রাস এবং ধারাবাহিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে। ’  
 
সম্প্রতি, সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প-২-এর উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীর দৈনিক ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা ২৪২ কোটি লিটার অর্থাৎ প্রথমবারের মতো উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদন করছে।

এসব প্রকল্পে সহায়তার জন্য জনাব তাকসিম এ. খান উন্নয়ন সহযোগীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩
এসএম/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।