ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দামুড়হুদায় অ্যানথ্রাক্স-এ আক্রান্ত ৮

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৩

চুয়াডাঙ্গা: জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের ৫জন মহিলাসহ ৮জন আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।



গত এক সপ্তাহ ধরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বুধবার থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মেডিকেল বোর্ড গঠনসহ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

নতুন করে আর যাতে গবাদি পশু (গরু-ছাগল) আক্রান্ত না হয় তার জন্যও জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে প্রতিশোধক টিকা।

বৃহস্পতিবার গোবিন্দহুদা গ্রাম অনুসন্ধান করা জানা যায়, ওই গ্রামের আমির চাঁদ নামে এক কৃষকের হালের একটি বলদ গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ওই কৃষক কয়েক জনের পরামর্শে গ্রামের শাহাবুদ্দীন নামে এক কসাইকে ডেকে গরুটি জবাই করান। ওই রাতেই জবাই করা গরুর মাংস ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

আক্রান্ত কসাই শাহাবুদ্দিন জানায়, ওই গরুটি জবাই করার দুই/তিন পর থেকেই দুই হাতে একাধিক ঘাঁ দেখা দেয়। পরে তিনি দামুড়হুদা থানা স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিতে গেলে  সেখানকার চিকিৎসক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়ে।

পরে একই গ্রামের আঃ মজিদের স্ত্রী আনজিরা (৪৫), মহাসিনের স্ত্রী রেশমী (২২), জহুরুল্লার স্ত্রী জনুরা(৪৫), মোক্তারের স্ত্রী বিউটি (২৫), সুরত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৫০), কাওছারের স্ত্রী তহমিনা (৩১) ও রফিক বিশ্বাসের মেয়ে রাফিজার (১২) হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘা দেখা দেয়। এরপরই গ্রাম জুড়ে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে বুধবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ খন্দকার মিজানুর রহমানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল গোবিন্দহুদা গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং আক্রান্তদের শরীরে অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন ডাঃ খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। মেডিক্যাল টিম গঠন করে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ কহিনুর রহমান বৃহস্পতিবার গোবিন্দহুদা গ্রাম পরিদর্শন শেষে এ প্রতিবেদককে জানান, নতুন করে আর যাতে গবাদি গরু-ছাগল আক্রান্ত না হয় তার জন্যও জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে প্রতিশোধক টিকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৩
এইচএ/এসএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।