ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

হেপাটাইটিসে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৩
হেপাটাইটিসে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে মৃত্যু

ঢাকা: হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এশিয়ায় প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন মারা যাচ্ছেন। যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রোগটির বিস্তার প্রতিরোধে কাজ করা সিঙ্গাপুরভিত্তিক এনজিও কোয়ালিশন টু ইরাডিকেট ভাইরাল হেপাটাইটিস ইন এশিয়া প্যাসিফিক’র (সিইভিএইচএপি) চেয়ারম্যান দিং-শিন চেন বলেন, জরিপে দেখা গেছে এশিয়ায় এ রোগের কারণে বার্ষিক মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

গত জুনে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ১৯৯০ সালে হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে এশিয়ায় ছয় লাখ ৯৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত বছর মারা গেছে ১০ লাখ মানুষ।

ইউনির্ভাসিটি অব ওয়াশিংটন পরিচালিত ‘গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ’ বিষয়ক এক গবেষনায় এ তথ্য উঠে আসে।

চেন আরো বলেন, এশিয়ায় হেপাটাইটিস ভাইরাসের কারণে লিভার নষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা এইডস এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তিনগুণ বেশি।

আগামী রোববার বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসকে সামনে রেখে সিঙ্গাপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে চেন বলেন, অজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণে বিভিন্ন দেশে রোগটি বিস্তার লাভ করছে। এ বিষয়ে তিনি বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগের প্রতিও জোর দেন।

চেন বলেন, জরুরিভাবে উদ্যোগ নিলে মারা যাওয়া সংখ্যার পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যাও কমানো সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেব অনুযায়ী, হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বে ১৪ লাখ মানুষ মারা যায়। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় আরো কয়েক লাখ মানুষ।

১৯৮৯ সালে আবিষ্কৃত এ ভাইরাসটির পাঁচ (এ, বি, সি, ডি ও ই) প্রকার। শুধুমাত্র ‘সি’ ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব না হলেও বাকিগুলোর প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সিইভিএইচএপি’র সংক্রমণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ স্টিফেন লোকারনিনি জানান, প্রতিষেধক বিশেষ করে নতুন চিকিৎসার মাধ্যমে হোপাটাইটিস ‘সি’ আক্রান্ত অনেক রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকার হেপাটাইটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে তিনি এশীয়-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এইডস, টিবি এবং ম্যালেরিয়া নিয়ে আপনারা যেমন উদ্যোগী তেমনি হেপাটাইটিস নিয়েও হওয়া উচিত।

তিনি এর উন্নয়নে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কাজ করতে তৈরি ও উৎসাহী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।