ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যখাতকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৩
স্বাস্থ্যখাতকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে

ঢাকা: দেশের উপজেলা ও জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে নানা রকম সমস্যা রয়েছে। এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত।

সরকার এ ব্যাপারে মনিটরিং করছে। তবে স্বাস্থ্যখাতকে বিকেন্দ্রীকরণ না করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক দিনব্যাপী এক পরামর্শ সভার সমাপনী পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এসব কথা বলেন।  

টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সাইদুর রহমান এবং ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. সিরাজুল হক তালুকদার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মচারীরাও সমস্যা তৈরি করছে। এসব সমস্যা সমাধানে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বর্তমান সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, পুষ্টি, শিশু ও মাতৃমঙ্গল নিশ্চিত করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ আরও অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ’

রুহুল হক বলেন, ‘বিগত চার বছরে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী ও কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণ যেসব হয়রানির সম্মুখীন হন তার ব্যাপারে ডাক্তারদের আন্তরিক হতে হবে। ’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান জানান, দেশের ৪৫টি অঞ্চলে টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এবং ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) এর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বেইস লাইন জরিপ, রিপোর্ট কার্ড জরিপ, জাতীয় খানা জরিপের অধীনে স্বাস্থ্য খাতের উপর জরিপ, ভ্রাম্যমাণ তথ্য ও পরামর্শ ডেস্ক কার্যক্রম, নাগরিকের মুখোমুখি, নাগরিক সনদ এবং সততার অঙ্গীকারসহ বিভিন্ন সামাজিক জবাবদিহিতা কৌশল ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবারের পরামর্শ সভায় সনাকের স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সভাপতি ও প্রতিনিধি ছাড়াও ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩৪টি জেলা সদর হাসপাতাল/জেনারেল হাসপাতাল এবং ৩টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৪জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তারা ছয়টি দলে বিভক্ত হয়ে দিনব্যাপী দলীয় আলোচনায় অংশ নেন।

এর আগে উদ্বোধনী পর্বে জেলা ও উপজেলা থেকে তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত একটি উপস্থাপনা পরিবেশন করেন টিআইবি’র গবেষণা কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার।

টিআইবি পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় দেখা যায়, উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা নেওয়ার সময় সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সরকারিভাবে তেমন কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে জনগণ সরকারি হাসপাতাল বিমুখ হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৩
এমআইআর/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।