হার্ট অ্যাটাক বলেকয়ে আসবে তা নয়। আচমকাই হানা দিতে পারে যখন-তখন।
রাতে ঘুমিয়েও সকালে ক্লান্তি যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও ঝিমুনি আসছে, এমন লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। দিনভর পরিশ্রমের পরে ক্লান্তি একরকম, আর সব সময়েই ঝিমুনি, শরীরে অস্বস্তি, মাথাব্যথা হতে থাকলে বুঝতে হবে তা আরও বড় কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। দিনের পর দিন যদি ক্লান্তি ভাব বাড়তেই থাকে তা হলে সবার আগে ইসিজি করিয়ে নেওয়া উচিত।
হৃদ্রোগ মানে যে কেবল বুকে ব্যথা হবে তা নয়। নীরব হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের আরও কিছু জায়গায় ব্যথা হয়, যেমন হাত, পিঠ, গলা, কোমর ও চোয়াল। এসব জায়গায় ব্যথা হলে অনেকেই পেশির ব্যথা ভেবে এড়িয়ে যান।
রাতে শুয়ে দরদর করে ঘাম, ঠান্ডা ঘরে বসেও ঘামতে থাকার লক্ষণ মোটেই ভালো নয়।
মাঝেমধ্য়েই পেটের গোলমাল, হাইপার অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হলেও সাবধান হতে হবে।
মাসখানেক ধরে যদি ঘুম কম হয়, বারে বারে ঘুম ভেঙে যেতে থাকে, ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তা হলে সাবধান হতে হবে।
হার্টের রোগ তলে তলে মাথাচাড়া দিচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করার অনেকগুলো পরীক্ষা আছে। কিন্তু সেসব পরীক্ষা যেমন এনজিওগ্রাম, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম, ইকোকার্ডিওগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআইর নাম শুনলেই আতঙ্কে ভোগেন অনেকে। তাই এসবের চেয়ে আরেকটু সহজ আর একটি কার্ডিও টেস্ট আছে, এর নাম তেমনভাবে চেনা নয়। সেই পরীক্ষাটি হলো ‘সিটি ক্যালসিয়াম স্কোর’ টেস্ট। হার্টে ব্লকেজ হচ্ছে কি না, তা আগাম ধরতে এই পরীক্ষাটি করানো যেতে পারে। বিশেষ করে কম বয়সীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই মেডিকেল পরীক্ষাটি। সেসঙ্গেই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। সুষম খাবার খাওয়া, জাঙ্ক ফুড কম খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করাও হার্ট ভালো রাখবে।
এএটি