ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মাছের তেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা

হেলথ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১২
মাছের তেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা

ঢাকা: মাছের তেল স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটা মনে হয় সবারই কম বেশি জানা। বিশেষত যারা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের যখন সব তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হয় তখন মাছের তেলই তাদের ভরসা।



মাছের তেলে ক্ষতিকারক দিকগুলো কম থাকায় তা উপাদেয়। চুলের স্বাস্থ্য এবং ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এমনকি নানান ধরণের রোগবালাই থেকে রক্ষা করে মাছের তেল।

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা মাছের তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন এবং সেই মতো চলেন। কেননা মাছের তেলে যেমন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা আছে তেমন এই তেল রোগবালাইও দূর করে।

মাছের তেল আপনাকে কোন দিকে থেকে সুরক্ষিত রাখে তারই তালিকা নি¤েœ দেওয়া হলো:

সুস্থ্য হার্টের জন্য: হার্ট কে সুস্থ্য রাখতে খাদ্য তালিকায় মাছের তেল থাকতে হবে। মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টরল বাড়ায়। ফলে স্ট্রোকের মাত্রা ও ঝুঁকি কমে যায়।

স্লিম হতে চান: অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাছ  হাইপারটেনশন কমিয়ে দেয় এবং মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ওই গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, ওজন কমাতে যে ডায়েটগুলো মানা হয় তার চাইতে বেশি কাজ করে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মাছের উপস্থিতি।

এ্যাজমা প্রতিরোধে: যারা সিভিয়ার হাঁপানি (এ্যাজমা) রোগে ভুগছেন তাদের উচিত নিয়মিত মাছ খাওয়া। গবেষকরা কয়েকজন হাঁপানি রোগে আক্রান্ত শিশুর ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। এসময় তারা কিছু শিশুকে বেশি বেশি মাছ খেতে দেন এবং বাকিদের নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে দেন। সেখানে দেখা যায় যে, যেসব শিশু বেশি বেশি মাছ খেয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছে এবং এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হলেও তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে না।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: মাছের তেলে ওমেগা-৩ থাকে যা স্তন, ক্লোন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারের জন্য সাধারণ কোষগুলোর যে ধরণের বৃদ্ধি হয় তা প্রতিরোধ করে ওমেগা-৩।

উজ্জল চুলের জন্য: মাছের তেল নিয়মিত খাদ্য তালিকায় থাকলে আপনার চুলে আলাদা উজ্জলতা ফিরিয়ে আনবে। এমনকি চুল ঝরা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং চুল হয় ঝকঝকে সুন্দর।

ত্বকের যতেœ: যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য সুখবর হলো এ থেকেও আপনি পরিত্রাণ পেতে পারেন। মাছের তেল ত্বক কে করে ঝকঝকে উজ্জল এবং দীপ্তিময়। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন ধরণের রোগ যেমন, চুলকানি, ত্বকের লালচে ভাব, ত্বকের ক্ষত, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়িসহ নানান ধরণের রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মাছের তেল।

সুখকর মাতৃত্বে: মাছের তেল মায়ের গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক এবং চোখের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া শিশুর অকাল জন্ম, গর্ভপাত এবং জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়া থেকে রক্ষা করে মাছের তেল।

তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাছের তেলের বিকল্প নেই। এজন্য যারা মাছ দেখলে এখনও নাক সিটকে থাকেন তাদের ওটা কমাতে হবে। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মাছ থাকতে হবে। শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই যাতে নিয়মিত মাছ খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১২
সম্পাদনা: তানিয়া আফরিন, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।