ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

হেলথ প্রমোশন বিষয়ক কনফারেন্স

রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

ঢাকা: হেলথ প্রমোশন বিষয়ক কনফারেন্স থেকে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টসহ ১৭টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ‘হেলথ প্রমোশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সটির আয়োজন করে।

কনফারেন্সে নীতিনির্ধারক, জনস্বাস্থ্যবিদ, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্স থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মত অসংক্রামক রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এসব অসংক্রামক রোগ দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। হেলথ প্রমোশন কার্যক্রমের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা এবং চিকিৎসা নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে চিকিৎসায় সরকার ও ব্যক্তির ব্যয় কমে আসবে।

কনফারেন্সে আলোচকরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলেন, হেলথ প্রমোশন বা স্বাস্থ্য উন্নয়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয় যার দিয়ে মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

সাধারণভাবে, তামাকপণ্যের ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল আসক্তি, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার অভাব এবং বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে অসংক্রামক রোগের মূল ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রায় সম্পূর্ণভাবে এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুকে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কনফারেন্স থেকে আরও বলা হয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপন্থা নেওয়া ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম নিয়েছে। তবে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ এবং ‘রোগ প্রতিরোধ’ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশে এখনও শুরু হয়নি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া এসডিজিসহ সরকারের অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে।

কনফারেন্সে হেলথ প্রমোশনসহ দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে পাঁচ দফার একটি সম্মিলিত ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২৯২৩
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।