ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ক্যানসারের থাবায় অসহায়ত্বের কালো ছায়া

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ক্যানসারের থাবায় অসহায়ত্বের কালো ছায়া

ঢাকা: বাব-মায়ের একমাত্র সন্তান তাপস প্রান্ত চাকরি করেন একটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে। ফার্মেসিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরিতে যোগদান করে অবসরে যান বৃদ্ধ বাবা।

প্রায় বছর দুয়েক আগে সুখের সংসারে হঠাৎ দুঃখের কালো ছায়া নেমে এলো। প্রান্তের মা ‘যমুনা রানী সরকারের’ শরীরে শনাক্ত হলো দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে যেখানে সংসার চালাতেই হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্তরা সেখানে মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসা যেন দিনদিন অসহায় থেকে আরও অসহায় করে তুলছে প্রান্তকে। দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় ঋণে জর্জরিত প্রান্ত মাকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে চাইছেন আর্থিক সহায়তা। চিকিৎসা চালাতে তার প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা।

প্রান্তর প্রথম পরিচয় ছিল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিজ এলাকা গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও আশপাশের এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। মা ক্যানসারে আক্রান্ত হবার পর বন্ধ হলো সঙ্গীতচর্চা। কেননা প্রান্তর মতে, উঠতি সংগীতশিল্পীদের সঙ্গীতচর্চা করতেও অর্থের প্রয়োজন হয়।

বর্তমানে যমুনা রানী আহসানিয়া মিশন ক্যানসার ও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকের মতে, তিনি ‘স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা অব স্কালপ’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত, যা এখন মাথা থেকে গলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।

আবার সম্প্রতি যমুনা রানী স্ট্রোক করেন এবং তার শরীরের বাম পাশ পুরো অচল হয়ে পড়ে। তাছাড়া  আগের তিনবারের অপারেশন আর রেডিও থেরাপিতে কাজ হচ্ছে না। যে কারণে উনার মাথায় ক্যানসারে আক্রান্ত স্থানে পুনরায় অপারেশন করতে হবে এবং আরও শক্তিশালী ক্যামোথেরাপি নিতে হবে।

এ বিষয়ে তাপস প্রান্ত বলেন, আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। আমি তাদের একমাত্র সন্তান। মায়ের ক্যানসারের সঙ্গে মানসিক ও আর্থিকভাবে যুদ্ধ করতে করতে এখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। স্বল্প আয়ের চাকরি দিয়ে সংসার চালানো, মায়ের এতদিনের চিকিৎসায় যে ধার-দেনা হয়েছে, তা পরিশোধ করা আর বর্তমান ক্যানসারের চিকিৎসায় যে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তা সামাল দেওয়া আমার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়তে চাই। বর্তমানে সামগ্রিক চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় খরচ হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা, যা আমার স্বল্প আয় দিয়ে বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি না আমি কি করব। জানি না আমার কি করা উচিত! শুধু জানি আমার মাকে আমি হারাতে চাই না। আপনাদের সহায়তায় আর সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমি আমার মাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশী। একমাত্র আপনাদের আর্থিক সহযোগিতাই পারে আমার প্রত্যাশার আলোর দিশারী হতে।

এ বিষয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যম:
১. তাপস সরকার (প্রান্ত):
০১৭১৮৭১৫৯৩০ (বিকাশ)
০১৮১৫২২২৫৫০ (নগদ)
০১৭৯৩৫৩৫৬০৩ (রকেট)

২. Bank A/C:
ব্যাংক- Dutch Bangla Bank Ltd
অ্যাকাউন্ট নাম-Tapas Sarker
অ্যাকাউন্ট নং- 1161030503649
ব্রাঞ্চ- Gulshan
রাউটিং- 090261725
সুইফট কোড- DBBLBDDH

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।