ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৫৭ জনের ছানি অপারেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৫৭ জনের ছানি অপারেশন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করছেন চিকিৎসকরা। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে কুমিল্লা অঞ্চলের গরিব-দুস্থ ৫৭ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ অপারেশনের আয়োজন করা হয়েছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবতৈনিক পরিচালক ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে এ সার্জারিতে অংশ নেন ডা. রুবিনা আক্তার ও ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি। এবারের সার্জারিতে ৩৩ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারীসহ মোট ৫৭ জন রোগীর ছানি অপারেশন করা হচ্ছে।

চোখের ছানি অপারেশন করতে আসা সালেহা বেগম বলেন, ‘কোনো দিন চিন্তা করিনি যে, আমার চোখটা ভালো হয়ে যাবে। তাও আবার কোনো টাকা-পয়সা লাগবে না। বসুন্ধরা আই হসপিটাল আজকে যেকাজ করেছে তা সত্যিই অতুলনীয়। আমার মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। সেজন্য অপারেশন করার কথা আগের ডাক্তাররা বললেও টাকার অভাবে চিন্তা করতে পারিনি। এখন আবার আমি সবকিছু ঠিকভাবে দেখবো। এটাই ভালো লাগছে। তারা আরও বেশি মানুষের পাশে এগিয়ে যাক এ দোয়াই করি। ’

একই কথা জানান কুমিল্লার বাসিন্দা আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘আমি চোখ দেখানোর পর আমাকে বলে আপনার তো অপারেশন করতে হবে। আমি বললাম স্যার টাকা-পয়সার অনেক সংকট। তাই অপারেশন করতে পারছি না। স্যার হেসে বললো আর চিন্তা কইরেন না। এবার আপনার চোখ ঠিক করে দিবো। কোনো টাকা-পয়সাই লাগবে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় জনদরদী খুঁজে বেড়াই। আজ জনদরদীদের দেখলাম। বাংলাদেশের সবাই যদি এভাবে হাত বাড়াইতো তাহলে তো আর বাংলাদেশে গরিব বলে কিছু থাকতো না। ’

অপারেশনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবতৈনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, ‘গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার ৪৭০ জনের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘গত ১৯ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ঝলম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে চক্ষু চিকিত্সা ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই ক্যাম্পে প্রায় দুই হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। এর মধ্যে ৩৫০ জনকে চোখের ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বাড়ার কারণে চোখ অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তারই প্রথম ব্যাচের ৫৭ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।