ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৩৮ জনের ছানি অপারেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৩৮ জনের ছানি অপারেশন বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চোখের ছানি অপারেশন।   ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব ও দুস্থ ৩৮ জন রোগীকে নিখরচায় চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং নবজাগরণ প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি এ অপারেশন করা হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. রুবিনা আক্তার ও ডা. গোলাম মজুমদার রাব্বি।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর এলাকা থেকে বিনামূল্যে বসুন্ধরা আই হসপিটালে চোখের ছানির চিকিৎসা করতে এসেছেন আলমগীর ভূঁইয়া (৫০)।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের ক্যাম্প হয়েছিল। এটা জানার পর আমি ক্যাম্পে যাই। ক্যাম্প থেকে আমাদের বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে আসা হয়। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। আর্থিক সমর্থ্য ছিল না। বিনামূল্যে চোখের অপারেশন করাতে পারবো কখনও ভাবিনি। বিনামূল্যে হলেও এ হাসপাতালের সব কিছুই ভালো লেগেছে। ’ 

৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা রওশনারা। তিনিও এসেছেন মান্দারপুর এলাকা থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে বিনামূল্যে চোখের অপারেশন করাতে।

রওশনারা বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুই চোখে ছানি পড়েছিল। আগেও ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার অপারেশন করার কথা বলেছিলেন। টাকার অভাবে করতে পারিনি। গ্রামের লোকজনের কাছে শুনেছি বসুন্ধরা চক্ষু হসপিটালে চোখের ছানি ফ্রি অপারেশন করা হচ্ছে। আজকে আমার চোখের অপারেশন করা হয়েছে। কোনো টাকা-পয়সা লাগেনি।

তিনি বলেন, কখনও ভাবিনি আমার চোখের অপারেশন ফ্রি করাতে পারবো। চোখের অপারেশনের পরে আমার খুব শান্তি লাগছে। হাসপাতালে সবাই আমার খুব যত্ন নিচ্ছে।  

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ক্যাম্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে দরিদ্রদের বিনামূল্যে চক্ষুসেবা দেওয়া। এ সেবার যত খরচ আছে, তা আমরা বিভিন্ন ফান্ড থেকে বহন করি। মুসলিম রোগীদের জন্য যাকাত ফান্ড ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য দরিদ্র ফান্ড (পোর ফান্ড) থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের নিজস্ব ফান্ড থেকেও এ খরচ বহন করা হয়। যাকাত ফান্ড ও বসুন্ধরা গ্রুপের ডোনেশন এবং সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এ ক্যাম্পগুলো পরিচালনা করছি। সারা দেশের মানুষের অন্ধত্ব নিবারণই হচ্ছে বসুন্ধরা চক্ষু হসপিটাল ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ২১ জন পুরুষ ও ১৭ নারীসহ মোট ৩৮ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে। গরিব-দুস্থ অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প করা হচ্ছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার নয়শ’র বেশি রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে এ ক্যাম্প করা হয়। ড. আইউবুর রহমানের স্মরণে মা আমেনা গফুর হাসপাতালে নিখরচায় ছয় শতাধিক রোগীকে চক্ষু চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হয়েছে। সেখানকার ১ম ব্যাচের ৩৮ জন রোগীর চক্ষু অপারেশন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।