ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল আযহা। চির-চেনা ব্যস্ত নগরী রাজধানী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা।
আর এ সুযোগ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন কন্ডাক্টররা, অভিযোগ যাত্রীদের।
গুলিস্তান যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর সেক্টরের গোল চত্ত্বর থেকে ইটিসি কোম্পানির একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-জ/১১-১৫২৮) ওঠেন বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল জব্বার।
তিনি বলেন, অন্যান্য সময় মিরপুর-১০ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ২২ টাকা থেকে ২৪ টাকা ভাড়া নেয়। সে জায়গায় ঈদ উপলক্ষে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি নিতে পারে। কিন্তু ১০০ টাকা কিভাবে হতে পারে!
এ প্রসঙ্গে ওই বাসের কন্ডাক্টর মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, বাস মালিক ঈদ উপলক্ষে জমা খরচ ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছেন। এ টাকা তুলতে হলে যাত্রীদের কাছে থেকে নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
এছাড়াও গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাটগামী বাসগুলোতেও অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
আরেক যাত্রী মিজান বাংলানিউজকে বলেন, গাবতলী থেকে মহাখালী পর্যন্ত হিউম্যান হলারের ভাড়া নেওয়া হয় ১৫ টাকা। অথচ ঈদের একদিন আগে থেকেই ১৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য রুটের চিত্রও এক। মোহাম্মদপুর থেকে ছেড়ে আসা আরামবাগ, লোহারপুল, বনশ্রী, আজিমপুর থেকে ছেড়ে আসা বোর্ড বাজারসহ অন্যান্য রুটের গণপরিবহনে ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে চলতে পারে না। বাস মালিক সমিতির মহাসচিবকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি আমি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এটি/এএসআর